ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: মাসখানেক আগে রাতের অন্ধকারে ভাতার থানা এলাকার তিনটি কালী মন্দিরে প্রতিমার গায়ে থাকা সোনা রুপোর গহনা চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। একইরাতে পরপর তিনটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রামগুলিতে রীতিমত শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। পুলিশ চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে দ্রুত। কিন্তু প্রথমদিকে সেইভাবে চুরির কিনারা করতে পারেনি তদন্তকারী অফিসারেরা।
১৩ নভেম্বর চুরির ঘটনার পর পুলিশ টানা তদন্ত চালাচ্ছিল যেভাবেই হোক দুষ্কৃতীদের ধরবার ব্যাপারে। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে বলগোনা এলাকায় একটি সোনা-রূপোর দোকানে চুরি করা গহনা বিক্রী করতে এসে পুলিশের বিছানো জালে ধরা পড়ে গেল নন্দন নাথ নামে এক ব্যক্তি। ধৃতের কাছ থেকে পুলিশ ৫৩ হাজার টাকা, ৫৬ গ্রামের একটি রুপোর মুন্ডমালা ও একটি নতুন মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই চুরির ঘটনায় আরো করা যুক্ত ছিল, এবং চুরি যাওয়া বাকি গহনা উদ্ধারের জন্য বর্ধমান আদালতে পেশ করলে, বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, ‘অভিযোগ পাবার পর থেকেই পুলিশ বিভিন্নভাবে এই চক্রটিকে ধরার জন্য কাজ করছিল। একটি সুত্র ধরে পুলিশ ধৃত ব্যক্তির ছবিও পেয়েছিল। সেই ছবিও বিভিন্ন জায়গায় দেখিয়ে রেখেছিল পুলিশ। চুরি করা গহনা বিক্রী করতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ওই যুবক। আদালতে তুলে ধৃত কে হেফজতে নিয়ে এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, বাকি সমস্ত গহনা কোথায় রয়েছে তা উদ্ধার করা হবে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালী মন্দিরের প্রতিমার গায়ে থাকা সোনার গহনা চুরি করে গা ঢাকা দিয়েছিল নন্দন। এর আগেও মঙ্গলকোট এলাকায় মন্দির থেকে গহনা চুরির ঘটনায় জেল খেটেছে নন্দন। ওরগ্রামের বাসিন্দা সহদেব সাহা বলেন, ‘তিনটি মন্দিরে একইসাথে করে একই রাতে চুরির ঘটনায় তিনটি গ্রামেই শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আমাদেরও খুব খারাপ লাগছিল। মায়ের গায়ের সোনার গহনাও এভাবে কেউ চুরি করতে পারে আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। যাইহোক চোর ধরা পড়েছে। পুলিশ আশাকরি এবার সবটাই খুঁজে বের করতে পারবে।’