ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সেই একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি। ফের সন্ধ্যার পর থেকেই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে বর্ধমানের রেল ওভারব্রীজ। সন্ধ্যা থেকে সারা রাত উড়ালপুলের উপর দিয়ে একদিকে কালনা, কাটোয়া অন্যদিকে দুর্গাপুর ও কলকাতা যাবার রাস্তায় যাতায়াতকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষের ভরসা শুধুই চলন্ত গাড়ির আলো। দু একটি বাতি স্তম্ভে আলো জ্বললেও বেশিরভাগ আলোই বন্ধ হয়ে রয়েছে প্রায় সপ্তাহ দুয়েকের ওপর। এরই মাঝে কেটে গেছে বাংলা নববর্ষ থেকে ঈদ। ঠিক হয়নি উড়ালপুলে ওঠা নামার রাস্তার আলো।
উড়ালপুল থেকে মেহেদীবাগানের দিকে নামার যে লেন, সেই লেনের আলো বাংলা নববর্ষের আগে থেকেই বন্ধ বলে অভিযোগ। এই রাস্তা দিয়ে নেমে গোলাপবাগ মোড়ে হয়ে নবাবহাট দিকে যাওয়ার রাস্তা অর্থাৎ জিটি রোডের উপর থাকা আলোগুলি বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু জায়গায় বন্ধ থাকছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যদিও কেন এই সমস্যা, সেই বিষয় নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা।
বর্ধমান রেল ষ্টেশনের মূল সেতুর সঙ্গে রয়েছে চারটি এপ্রোচ রোড। মূল সেতুতে কোন সমস্যা না থাকলেও সমস্যা রয়েছে এপ্রোচ রোডে। মেহেদিবাগানের দিকে নামা এবং ওঠার দুটি লেনের বাতিস্তম্ভগুলির আলো খারাপ বেশকয়েকদিন। ফলে রাতের দিকে নিকষ কালো অন্ধকারে ডুবে থাকে এই রাস্তা। গাড়ির আলোই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করা শম্ভুচরণ মিস্ত্রী বলেন, রেলের পুরনো ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলার ফলে উড়ালপুলের উপর চাপ বেড়েছে। পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে সাইকেল, বাইক, তিন এবং চার চাকা থেকে শুরু করে বাস, ট্রাক সবই চলছে এই রাস্তা দিয়েই।
কিন্তু রাস্তা অন্ধকার থাকায় বিপদের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। অপর একজন পথচারী সমীর ঘোষ বলেন, মেহেদীবাগানের দিকে নামার যে রাস্তা, ওই রাস্তা বাইক এবং চারচাকা অনেকসময় বেপরোয়াভাবে নেমে আসে, আলো না থাকায় পথচারীরা সমস্যায় পড়ছেন। স্থানীয়দের দাবি, কয়েকবছর আগে গোটা রেল উড়ালপুল জুড়ে আলোর সমস্যা ছিল। সেই কারণে মাঝেমধ্যেই উড়ালপুলে দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। আবার সেই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন।
শহরবাসীর আরও অভিযোগ, উড়ালপুলের একাংশ ছাড়াও মেহেদীবাগান থেকে গোলাপবাগ হয়ে নবাবহাট যাওয়ার যে মূল জিটি রোড সেখানেও রয়েছে আলোর সমস্যা। জি টি রোডের ডিভাইডারের উপর থাকা বাতিস্তম্ভগুলির অনেক জায়গায় মাঝেমধ্যে কিছুটা অংশের আলো জ্বলে না বলে অভিযোগ। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তার এই আলোআধাঁরি নিয়ে সরব স্থানীয়রা। বিক্রম মজুমদার, সোমনাথ দত্ত বলেন, জিটি রোড সম্প্রসারণ হয়েছে, যানবাহন বেড়েছে। এই অবস্থায় রাস্তায় আলো থাকাটা একান্তই প্রয়োজন। উড়ালপুল থেকে শুরু করে জিটি রোডের আলোর বিষয়টি দেখভাল করে বর্ধমান পুরসভা৷ পুরসভার এই বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত। পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, ‘কেন এই ঘটনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য পদক্ষেপ করা হবে।’