ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: রবিবার বর্ধমান শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রকানন এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সুমিত খটিকের (৩৯) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চিকিৎসকের বাবা নির্মল কুমার খটিক ছেলের মৃত্যুর জন্য পুত্রবধূ কেই দায়ী করে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্দ্রকাননের বাড়িতে স্ত্রী সঙ্গীতা, মেয়ে ও শ্বশুর, শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন সুমিতবাবু। ঘটনার সময় চিকিৎসকের মেয়ে ও শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন। চিকিৎসকের বাবা বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েকবছর পর থেকেই পুত্রবধূর লাগাতার মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁর ছেলে। একই সঙ্গে নির্মলবাবু অভিযোগপত্রে লিখেছেন, “আমার বিশ্বাস ও অনুমান কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে পুত্রবধূ অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত আছে। যে কারণে বাড়িতে কোনও আর্থিক সঙ্কট না থাকা সত্ত্বেও বাড়ির বাইরে বেরোনোর বাহানায় মাসিক মাত্র ২ হাজার টাকার বেতনে কোনও একটি নার্সিং স্কুলে পড়াতে যেতেন আমার ছেলের স্ত্রী। আর তারই সঙ্গে পরামর্শ করে আমার ছেলের উপর অত্যাচার করতো পুত্রবধূ। এমনকি নিজের স্বামীর মৃত্যু কামনাও করতো পুত্রবধূ।”
নির্মলবাবু পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে রবিবারের পর সোমবারও ইন্দ্রকানন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পারা প্রতিবেশীরা সুমিত বাবুর এই আকস্মিক মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাঁরাও এই রহস্য মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাইছেন।