প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ফলাফলে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের ইনা সিংহ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: টেট পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল বর্ধমানের আলমগঞ্জ এর বাসিন্দা ইনা সিংহ। মোট দেড়শো নম্বরের মধ্যে ১৩৩ নম্বর নিয়ে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছেন ইনা। শুক্রবার রাজ্য রথমিক পর্ষদের পক্ষ থেকে এবছরের টেটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর তাতেই বাজিমাত করেছে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের মেয়ে ইনা। সম্প্রতি টেট নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের জেরে স্বচ্ছ পরীক্ষা এবং দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বলেই ধারণা ইনা সিংহের।

বিজ্ঞাপন

নট সম্রাট রাখল সিংহের নাতনি ইনা সিংহ। ২০০৮ সালে ইনা মাধ্যমিক পাশ করেন হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় থেকে। ২০১০ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে উর্ত্তীণ হন ভালো নম্বর পেয়ে। ২০১৪ সালে ভূপেন্দ্রনাথ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় থেকে ইংরেজি অর্নাস নিয়ে স্নাতক হন ইনা। ইনার মা কাকলি সিংহ বলেন, ইনা প্রথম থেকেই পড়াশোনায় ভালো। টেট পরীক্ষার সময় দিনরাত এক করে পড়াশোনা করতো। পড়াশোনাই ওর ধ্যান জ্ঞান।

বাবা দেবাশীষ সিংহ শারীরিক কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। মা কাকলি দেবী গৃহবধূ। কাকলি সিংহ বলেন, বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে তিনটি দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া আছে। ওই আয় থেকেই কোনরকমে সংসার চলে তাদের। বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পুরান আমলের টিনের চালার ঘরে বসবাস করেন ইনারা। ইনা বলেন, পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। এই ফল হবে আশা করি নি। তবে তিনি জানান, ১৩৩ নম্বর না পেলেও ১২৮ নম্বর পাবেন এই আশা তার ছিল।

টেট নিয়ে নানান বিতর্ক, আদালতে একের পর এক মামলা। এই প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে টেট পরীক্ষা সংগঠিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বের হয় ফলাফল। ইনা সিংহ জানান, টেট নিয়ে হাজার বিতর্কের মধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। তাঁর দাবি, ‘দীর্ঘদিন চাকরি নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনের কারণেই পরীক্ষায় স্বচ্ছতা এসেছে। আন্দোলনকারীদের লাগাতার লড়াইয়েরই একটা সাফল্য এই পরীক্ষা। তাঁর মতে, লড়াই করেই অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। লড়াই চলবে। চাকরির ব্যাপারে আশাবাদী ইনা। তিনি বলেন, গন্তব্যে এখনও পৌঁছতে পারি নি। আশা আছে অবশ্যই পৌঁছবো, হাল ছাড়লে হবে না।’ ইনা জানিয়েছে, টেট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে এবার ছিল কড়া অনুশাসন। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল সেন্টারগুলি। ইনার ধারণা, এবার পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে।

আরো পড়ুন