ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: নতুন প্রযুক্তির মেশিনারী ব্যবহার করে গত চার বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইসমিল গুলো তাদের আধুনিকীকরণের দিক দিয়ে ৬০শতাংশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ বিশ্বমানের নতুন প্রযুক্তির মেশিনারীর ব্যবহার। চার বছর আগে যেখানে পূর্ব বর্ধমানের প্রায় পাঁচশো রাইস মিলের মধ্যে ৩০শতাংশ রাইসমিল নতুন প্রযুক্তির মেশিনারী ব্যবহার করতো, আজ সেই সমস্ত রাইস মিলের ৯০শতাংশ অত্যাধুনিক মেশিনারী ব্যবহার করছে। ফলে যেমন উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, পাশাপাশি চালের গুনমানেও পরিবর্তন এসেছে। ব্যবসার পরিমাণ যে এর ফলে বেড়েছে তেমন নয়, বরং কিছুটা কমেছে। তবে আধুনিকীকরণের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে এই জেলার রাইস মিলগুলো।
বর্ধমান জেলা রাইস মিলস্ এ্যাসোসিয়েশন এর পরিচালনায় বর্ধমানের আলমগঞ্জ কল্পতরু ময়দানে আগামী ২৫-২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা চতুর্থ রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এই বিষয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার এমনি তথ্য জানালেন বর্ধমান জেলা রাইস মিলস্ এ্যাসোসিয়েশন কার্যকারী সভাপতি আব্দুল মালেক। আব্দুল মালেক বলেন,” এই মেলায় দেশী-বিদেশী প্রায় ১৭০টি কোম্পানির আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মেশিনারী এবং প্রদর্শনীর স্টল বসছে। বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের মানুষ এই এক্সপো তে মিলিত হবেন তাদের বিশ্বমানের প্রযুক্তিতে তৈরি মেশিনারী নিয়ে। উপকৃত হবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ রাজ্যের একাধিক জেলার এই ট্রেডের ব্যবসায়ীরা।”
মালেক বাবু বলেন, ‘ পূর্ব বর্ধমান জেলায় উৎপাদিত মিনিকিট ও বাঁশকাঠি চালের জি আই( Geographical indication) স্বীকৃতি পাবার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। পাশাপাশি জেলা শাসক ও জেলার পুলিশ সুপার কেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা দেশের মানচিত্রে শস্য গোলা হিসেবেই পরিচিত। তারমধ্যে ধান উৎপাদনে এই জেলাই শীর্ষ স্থানে আছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের অন্য জেলার থেকে এই জেলাতেই সবথেকে বেশি রাইস মিল রয়েছে। রাইস মিলাররা যাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হওয়া নতুন প্রযুক্তির মেশিনারী সম্মন্ধে আরো বেশি ওয়াকিবহাল হয়, তার জন্যই এই জেলায় বারবার আমরা ‘রাইস প্রো-টেক এক্সপো ‘ এর আয়োজন করে আসছি।
২০১৫সালে প্রথম এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৭, ১৯ সালে করার পর ফের এবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আব্দুল মালেক বলেন,” অন্যান্যবারের তুলনায় এই বছরের রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর এই মেলা অনেক বেশি আকর্ষণীয় করা হয়েছে। তিনদিনের এই মেলায় বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দিনের বেলায় ব্যবসায়ীদের সুবিদার্থে নানান আলোচনার আয়োজন থাকবে। মেলায় কোন প্রবেশ মূল্য থাকছে না। তবে অবাঞ্ছিত কেউ মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেই বিষয়ে সতর্কতা নেওয়া হবে।”