অনৈতিকভাবে ছাত্র ভর্তি করানোর আবেদনে সায় না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, তদন্তে বর্ধমান থানার পুলিশ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: অনৈতিকভাবে স্কুলে ছাত্র ভর্তি করানোর আবদার না রাখায় ফোন করে লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি শুনতে হল স্কুলেরই প্রধান শিক্ষককে। এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে তাঁর স্ত্রীকেও হুমকি দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট ধারায় কেস রুজু করছে। ফোন নম্বর ধরে অভিযুক্ত কে শনাক্ত করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে খোদ সরকারি স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক কে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। তবে সোমবার পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানা গেছে। ফোনে হুমকি পাওয়ার পরই বিশ্বজিৎবাবু মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন, পাশাপাশি রীতিমত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে এদিন তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ১২ নভেম্বর স্কুলে এক অপরিচিত ব্যক্তি আসেন একজন ছাত্রের ভর্তির আবেদন নিয়ে। তিনি ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেন এখনও সরকারি নিয়ম মেনে ছাত্র ভর্তির ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সুতরাং সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে ছাত্র ভর্তি করানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, এরপরেই কোন এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে মেরে লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাঁর অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতেও পৌঁছে যায়, সেখানে গিয়ে তাঁর স্ত্রী মৌসুমী পালকেও হুমকি দেয়। বিশ্বজিৎবাবু থানায় জমা করা অভিযোগে লিখেছেন, তাঁর স্ত্রীকে গিয়ে ওই ব্যক্তি শাসিয়েছে ছাত্রটিকে ভর্তি না করালে স্বামীর লাশ ফেলে দেবে। আর এরপর থেকেই রীতিমত ‘ট্রমাটাইজড’ হয়ে পড়েন তিনি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইং অনাময় হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

বিশ্বজিৎ বাবু জানিয়েছেন, চিকিৎসক তাঁকে আগামী দু সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন,” অনৈতিকভাবে ছাত্র ভর্তি করতে সায় না দেওয়ায় কেউ এইভাবে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হুমকি দেবেন এমন ঘটনা আমি কোনোভাবেই ভাবতেই পারছিনা। আমি এবং আমার পরিবার রীতিমত আতংকে রয়েছি। পুলিশ কে ঘটনার কথা জানিয়েছি। ওনারাই ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

আরো পড়ুন