মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী নেতার নামে ১২বছর পর হুলিয়া জারি জামশেদপুর আদালতের, চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া: ১২ বছর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী নেতা রাজারামের নামে হুলিয়া জারি করল জামশেদপুর আদালত। রাজারামের বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছে ঝাড়খন্ড পুলিশ। আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী নেতা কীভাবে ফেরার! এই নিয়ে ধন্দে বাঁকুড়া পুলিশ। ঝাড়খন্ডের পটমদা থানার পুলিশ বাঁকুড়ার রানীবাঁধ থানার মিঠাম গ্রামে রাজারামের বাড়িতে গিয়ে সেই হুলিয়া নোটিশ সেঁটে দিয়ে এসেছে। আর এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

বিজ্ঞাপন

নিয়ম অনুযায়ী কোন অভিযুক্ত ব্যাক্তি পুলিশের খাতায় ফেরার থাকলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে হুলিয়া জারি করে আদালত। কিন্তু আত্মসমর্পনকারী কোনো অভিযুক্তর নামে এভাবে হুলিয়া জারি হওয়া বিরল ঘটনা। এ রাজ্যে আত্মসমর্পনকারী মাওবাদীদের মধ্যে এই প্রথম কোনো প্রাক্তন মাওবাদীর নামে হুলিয়া জারির ঘটনা ঘটল। এরাজ্যের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন মাওবাদী গেরিলা নেতা রাজারাম সোরেন ও তাঁর স্ত্রী মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যা জাগরী বাস্কে। আত্মসমর্পণের ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী পরবর্তীতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল হোমগার্ড পদে চাকরী পান রাজারাম। বাঁকুড়া সংলগ্ন একটি জেলায় তিনি কর্মরত। সেখানেই তিনি তাঁর স্ত্রী জাগরী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে বসবাস করেন।

হুলিয়ার নোটিশ অনুযায়ী জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজারামকে জামশেদপুর আদালতে হাজিরা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই ১২বছর পর নতুন করে রাজারামের নামে জামশেদপুর আদালত হুলিয়া জারি করায় রীতিমত বিব্রত রাজারামের পরিবারের লোকজন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি টেলিফোনে জানিয়েছেন, “বিষয়টি তারা জেনেছেন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য উচ্চস্তরে জানানোর পাশাপাশি আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে”। উল্লেখ্য ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর পুলিশের সহায়তায় সরাসরি মহাকরণে সস্ত্রীক গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন রাজারাম সোরেন।

আরো পড়ুন