ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া: এ যেনো কোনো ছোঁয়াচে রোগ! আর জি করের নৃশংস ঘটনার পর থেকে একের পর এক সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক কিংবা রুগীর আত্মীয়দের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেখানে কখনও সিভিক ভলেনটিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে তো আবার কখনও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অন্য মহিলা কে উত্যক্ত করার অভিযোগ সামনে আসছে। শনিবার মাঝরাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতালে এক মহিলা রোগীর মায়ের সামনে এক ব্যক্তি অশালীন আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনায় ফের আলোড়ন ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। যদিও মানসিকভাবে নিগৃহীত মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে কালপ্রিট কে ইতমধ্যেই গ্রেপ্তার করছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের এক নার্সিং স্টাফ তার মেয়ের পেটে ব্যথার কারণে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। এরপর তাকে ডাক্তার দেখিয়ে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রোগীর মায়ের অভিযোগ, সার্জিক্যাল বিভাগে ফিমেল ও মেল আলাদা নয়। সেইজন্য ওই ওয়ার্ডের সামনেই এক রোগীর সঙ্গে বসে ছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানে বসেই ওই ব্যক্তি নানা রকম অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন ওই মহিলার সামনেই। সেই দেখে মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করলে ছুটে আসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রাতে কর্তব্যরত নৈশ প্রহরী।
তখনকার মতন ওই ব্যক্তিকে বাইরে বের করে দেয় প্রহরীরা। সকালে ওই মহিলা কাটোয়া থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি হাসপতালের রাতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম, ইন্তাজুল হক। বাড়ি কাটোয়ার মুলটি গ্রামে। তার শ্বশুর অসুস্থ থাকায় শশুরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল বলে জানা গেছে। এই মাত্র কয়েকদিন আগেই কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে হাড়হিম করা ঘটনায় এখনো রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তারপরেও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে উঠে আসছে এক এক করে ভয়ংকর ছবি। রোগীর আত্মীয়দের অনেকেই দাবি করেছেন, অবিলম্বে কাটোয়া হাসপাতালে সাধারণ মানুষের অবাধে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। পাশাপাশি হাসপাতালের নজরদারি আরো বাড়ানো উচিত।