ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ষাকালীন নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধের প্রশাসনিক নির্দেশ প্রত্যাহার হতে আরো কিছুদিন বাকি রয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি এবং বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পরই ফের নদী থেকে বৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এদিকে তার আগে মজুদ বালি (stock sand) যতো দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে দেওয়া যায় তারজন্য উঠেপড়ে লেগেছে বৈধ ও অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ। এমনকি বহু জায়গায় প্রশাসনিক ভাবে বাজেয়াপ্ত (seize) করা মজুদ বালি থেকেও চলছে চুরি করে বালি পাচার।
সেক্ষেত্রে অনেকসময়ই বিনা চালানেও পাচার করে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার সিএফটি বালি বলে অভিযোগ উঠে আসছে। আর এর মূল কারণ হিসেবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অনিয়মিত নজরদারি ও অভিযান। কে, কোন সিজ স্টক বালি থেকে কতটা চুরি করে পাচার করে দিচ্ছে এইসবের ওপর নিয়মিত নজরদারি না থাকার কারণেই বালি মাফিয়াদের একাংশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ। ফলে সরকারেরই লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব চুরি করে ফাঁক করে দিচ্ছে এক শ্রেনীর বালি কারবারিরা বলে স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি।
বর্ধমান থানার অন্তর্গত ইদিলপুর এলাকায় দামোদর নদের ধারে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যত্রতত্র মজুদ রয়েছে লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালি। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি মজুদ বালি বিক্রির প্রশাসনিক অনুমোদন থাকলেও, বেশিরভাগ মজুদ বালির বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই সমস্ত বেআইনিভাবে নদী থেকে তোলা বালি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও এক শ্রেনীর অবৈধ বালি কারবারিরা প্রশাসনের নির্দেশ কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেই সমস্ত মজুদ বালি ডাম্পারে লোড করে দিনে দুপুরে পাচার করে দিচ্ছে বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ।
তাদের অনেকের সন্দেহ, এই অবৈধ কারবারিরা প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে সেটিং করে কারবার চালাচ্ছে! এমনকি শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গেও ওঠাবসা রয়েছে এই বেআইনি বালি কারবারিদের একাংশের বলে তাদের দাবি। অন্যদিকে জেলা ও ব্লক ভূমি রাজস্ব দপ্তরের উদাসীনতার সুযোগকেও এই বালি কারবারিরা কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি অবিলম্বে এই চুরি বন্ধ করতে না পারলে সরকারের কয়েক কোটি টাকা লুঠ করে নেবে এই অবৈধ বালি কারবারিরা বলে তাদের আশঙ্কা।
ক্রমশ….