ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ এলাকার দামোদর নদ জুড়ে বেআইনিভাবে চলছে একাধিক বালিঘাট। কেউ নদীতে রীতিমত নেট মেশিন নামিয়ে নদী গর্ভের ২০ থেকে ৩০ ফুট গভীর থেকে মোটা দানার বালি তুলে দিন রাত পাচার করে চলেছে। আবার কেউ সরকারি লিজ হোল্ডারের চালান ব্যবহার করে নদীর নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে থেকে বালি কেটে সাফ করে দিচ্ছে। ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। অভিযোগ এই সমস্ত বেআইনি কাজে যারা যুক্ত তারা বেশিরভাগই স্থানীয় লোকজন বলেই সূত্রের খবর।
অভিযোগ, এই অবৈধ বালি মাফিয়ারা কখনো জামালপুরের, আবার কখনো রায়না, সদরঘাট এলকার বৈধ বালিঘাট মালিকদের সঙ্গে নাকি চুক্তি করে তাদের চালান ব্যবহার করে খন্ডঘোষের রূপসা, কুমিরখোলা, নারিচা, শালুন, গৈতানপুর প্রভৃতি এলাকায় দামোদর নদ থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে বেআইনিভাবে কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এই বেআইনি কারবার চালানোর জন্য এই বালি মাফিয়ারা নানান নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করছে বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ। কিন্তু এরই মাঝে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের লাগাতার অভিযান জারি থাকায় মাঝে মধ্যেই রীতিমত বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে এই অবৈধ বালি কারবারিদের।
সোমবার সেইরকমই আচমকা অভিযানে খন্ডঘোষের তাহেরপুর এলাকায় কয়েকটি বালিঘাটে অভিযান চালিয়ে ৬টি বালি বোঝাই লরি আটক করেছে খন্ডঘোষ ব্লক ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারীক। প্রত্যেকটি গাড়ির জরিমানাও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই বেআইনি বালিঘাট গুলোর বিরুদ্ধে আধিকারিক কে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক ইউনিস রিসিন ইসমাইল। তিনি জানিয়েছেন, জেলার সমস্ত নদ নদী জুড়ে যে অবৈধ বালির কারবার চলছে, তার বিরুদ্ধে দপ্তরের লাগাতার অভিযান জারি রয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান চলবে। বৈধ লিজ হোল্ডার ছাড়া কেউ যদি কোনোভাবে নদীর কোন অংশ থেকে বালি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে সরাসরি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।