জেলা

গভীর রাতে বর্ধমানে বাঘের আতঙ্ক! বনবিভাগ জানিয়ে দিলো সম্পূর্ণ গুজব। দেখুন এক্সক্লুসিভ ভিডিও

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানের রমনাবাগান মিনি জু-এর এনক্লোজার থেকে চিতাবাঘ বেরিয়ে পড়েছে! হঠাৎই রবিবার রাতে বর্ধমান শহর সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। মুহুর্মুহু ফোন আসতে থাকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বনদপ্তরের আধিকারিকদের কাছে। খাঁচা থেকে কিভাবে চিতাবাঘ বেরিয়ে গেল তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আতঙ্কও তৈরি হয় পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এমনকি বাঘ বেরিয়ে যাওয়ার খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ ভিড় করতে শুরু করেন রমনাবাগান ফরেস্ট এলাকায়। সেখানে দেখা যায় কেউ কেউ হাতে একটা লাঠি নিয়েও এসেছে বাঘের মোকাবিলা করতে!

 

 

ফোকাস বেঙ্গলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বন বিভাগের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী চিতাবাঘ বেরিয়ে পড়ার প্রসঙ্গে বলেন, ” এটা সম্পূর্ণ গুজব। কে বা কারা এই গুজব ছড়িয়েছে আমাদের জানা নেই। তবে আমাদের ফরেস্টের প্রত্যেক পশু পক্ষীদের থাকার জন্য যে নির্দিষ্ট এনক্লোজার রয়েছে সেগুলো নিশ্চিদ্র, এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই ধরনের ঘটনা ঘটার কোন অবকাশ নেই। কোন প্রাণীর পক্ষে ফরেস্টের ঘেরাটোপ ভেঙে বা টপকে বেরোনোর কোন সুযোগ নেই। আমরা সেই ভাবেই ব্যবস্থা করে রেখেছি।

তবে হটাৎ কেন এই ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়ানো হল সেটা বুঝতে পারছিনা। প্রতিদিনের মতোই এদিনও সন্ধ্যার আগেই ফরেস্টের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বনকর্মীরা সমস্ত এনক্লোজার পরীক্ষা করে দেখে মূল ফটক আটকে দিয়ে আসে। নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া রমনা বাগানের ভিতরে কেউ ছিলনা। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ হটাৎ খবর আসে ফরেস্ট থেকে বাঘ বেরিয়ে পড়েছে! আমরা খবরের সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই সব দিক আবার চেক করে নি। দেখা যায় চিতা বাঘের জন্য নির্দিষ্ট এনক্লোজারের ভিতরে চারটি ঘরে চারটি বাঘ বহাল তবিয়তে রয়েছে। এরপরই আমরা এই খবর কে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়ে দিই।” এদিকে কোনো দিন যা ঘটেনি, তেমন একটা বিষয় নিয়ে কেন এমন গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলেও তৈরি হয়েছে কৌতুহল।

Recent Posts