ক্রাইম

অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি, অসুস্থ কিছু শিশু, গাফিলতির অভিযোগ কর্মীদের বিরুদ্ধে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মিললো টিকটিকি। টিকটিকি পরা খিচুড়িই খাওয়ানো হয়েছে ছোট ছোট শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ ব্লকের ছাতিমপুর গ্রামে। এই খিচুড়ি খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে গ্রামের তিন চারজন শিশু। কারো পায়খানা, তো কারো বমি হচ্ছে। অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মীদের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ব্লক শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক রাজেশ শর্মা।

তিনিই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য বলেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল এরপরই গ্রামে এসে অসুস্থ শিশুদের পর্যবেক্ষণ করেন। অসুস্থদের  ওআরএস খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে আসা প্রতিটি শিশুর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যায় মেডিকেল টিম। সকলেই সুস্থ আছে বলেই প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় ছাতিমপুর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটির বেহাল দশা। কর্মীরা অসর্তকভাবে রান্নার কাজ করছে। আর তার জন্যই খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ে গেলেও কেউ দেখতে পাচ্ছেন না। সেই খিচুড়িই খাওয়ানো হলো ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের। গ্রামবাসীদের অনেকেই দাবি করেছেন, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

খন্ডঘোষ ব্লক শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক রাজেশ শর্মা বলেন,’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল খাবারে টিকটিকি পড়েছে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মীদের গাফিলতিতে। আমি এই কেন্দ্রের রেজিস্টার পর্যবেক্ষণ করে গ্রামবাসীদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী একজন অঙ্গনওয়ারি কর্মী ও সহায়িকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ রাজেশ শর্মা বলেন,’ ৬মাস থেকে ৬বছরের শিশুরা ও তাদের মায়েরা এবং গর্ভবতী মায়েরা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিকর খাবার পায়। আমি নির্দেশ দিয়ে রেখেছি,  যখন খাবার বিলি হবে তার আগে দুজন গর্ভবতী মা, একজন প্রসূতি মা ও চার জন অভিভাবক কে দিয়ে সাক্ষর করাতে হবে। অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা প্রতিদিনের খাবার এক চামচ করে খেয়ে দেখবেন, আর তারপরই সেই খাবার বিতরণ করা হবে। এই কেন্দ্রে সেই পদ্ধতি মানা হয়নি। তাই গাফিলতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’