ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: সামনেই কোন নির্বাচন নেই, নেই কোনো শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমন কোন উত্তেজনা। তবু চরিত্র বদলানো না। গলসি ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের চরম উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি করল গোটা এলাকা জুড়ে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একের পর এক বোমাবাজির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল গলসি থানার গলসি ১-ব্লকের জাগুলি পাড়া এলাকায়। প্রথমে দু পক্ষের বচসা, পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি, শেষে বোমাবাজি। এদিন সন্ধ্যায় গলসি এক ব্লকের জাগুলি পাড়া এলাকায় এই ঘটনায় শেখ মনি নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আহত তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে এদিন সন্ধ্যা নাগাদ গলসির বিধায়ক নেপাল ঘরুই ঘনিষ্ঠ রহমত মোল্লার গোষ্ঠীর লোকজন ও গলসি ১ নং ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জী ঘনিষ্ঠ সেখ আবুবক্কর ও জাকির মোল্লার লোকজনের মধ্যে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সুত্রের খবর, আগামীকাল বর্ধমান শহরে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেই মিছিলে উপস্থিত হবেন যুব তৃণমলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সেই উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গ্রামের গোডাউনে কাছে কর্মীসভা করছিলেন বিধায়ক ঘনিষ্ট স্থানীয় নেতা রহমত মোল্লার লোকজন।
সেই সময়ই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তিনটি বোমা ফাটে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি ইট পাটকেলও ছোড়া হয় বলে জানা গেছে। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর। আহতকে প্রথমে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতির জন্য তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনার পরই গ্রামে আসে গলসি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি হেডকোয়াটার অতনু ঘোষাল। ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে গ্রামে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই ঝামেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু পক্ষের ১০জন কে আটক করছে পুলিশ। নতুন করে অশান্তি এড়াতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আচমকাই গ্রামে বোমাবাজির ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।