ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: জলাধার গুলিতে জলের পরিমাণ কম থাকায় বোরো মরশুমে গত বছরের তুলনায় কম জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সার্কিট হাউসে ভিভিশনাল কমিশনার সুরিন্দর গুপ্তা পাঁচ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। এই জেলা গুলিতে রবি চাষের জন্য ২৬ ডিসেম্বর থেকে ও আগামী বছর ২৬ জানুয়ারি থেকে বোরো চাষের জন্য জল ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জল কম দেওয়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় চাষের ক্ষেত্র অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জল দেওয়ার পরিমাণ যাতে বাড়ানো যায় তার জন্য ডিভিসি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে জলের মজুত কম রয়েছে। মাইথন জলাধারে জলের পরিমাণ রয়েছে ৪৮২.২৮ হাজার একর ফুট। অন্যদিকে, পাঞ্চেত জলাধারে ৪১১.৮৫ হাজার একর ফুট জল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া ও বাঁকুড়া জেলায় মোট ৫০ হাজার একর জমিতে এই মরশুমে চাষের জন্য জল ছাড়া হবে। গত বছর প্রায় ৭২ হাজার একর জমিতে চাষের জন্য জল ছাড়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত বছর ৪৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে রবি ও বোরো চাষের জল দেওয়া হয়েছিল। দুটি জলাধার থেকে এবছর মোট ১৫২ হাজার একর ফুট জল ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৭ হাজার একর জমিতে জল দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও জেলার কোন অংশে এই জল দেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ডিভিশনাল কমিশনার সুরিন্দর গুপ্তা জানান,” ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জলাধার গুলিতে জলের মজুত পরিমাণ খতিয়ে দেখে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুসারে ১৪৪ হাজার একর ফুট জল ছাড়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা। পরবর্তীকালে এই পরিমাণ বাড়ানো হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রচার করে এই বিষয়ে চাষীদের জানানো হবে।”
পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান,” প্রাথমিকভাবে বৈঠকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় যেহেতু চাষের পরিমাণ অনেকটাই বেশি সেক্ষেত্রে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। জলাধার গুলিতে জলের পরিমাণ ফের খতিয়ে দেখে পরবর্তী কালে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”