ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: রেলে চাকরির প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ধৃতরা নিজেদের কেউ আরপিএফ অফিসার আবার কেউ রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মেম্বার আবার কেউ রেলের গ্রুপ ডি স্টাফ হিসেবে পরিচয় দিতো। সেই অনুযায়ী ভুয়ো আইডেন্টিটি কার্ড, ড্রেস তারা সঙ্গে নিয়ে ঘুরতো। শনিবার রাতে একটি নীলবাতি লাগানো সাদা রঙের স্করপিও গাড়ি করে পালশিট টোলপ্লাজা পেরিয়ে কলকাতার দিকে যাবার জাতীয় সড়কের পাশে স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে বচসা চলাকালীন মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িতে থাকা চারজন ব্যক্তিকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিরা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলার কারণে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে থাকা গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ধৃতদের তল্লাশি করে তাদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি বন্দুক ও দু রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গাড়িটি থেকে অশোকস্তম্ভ দেওয়া ইন্ডিয়ান রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের প্যাডের আদলে তৈরি করা কিছু ফাঁকা লেটারহেড, অশোকস্তম্ভ দেওয়া আইআরটিএস এর দুটি ভিজিটিং কার্ড, পাঁচটি মোবাইল ফোন, সন্দীপ বিশ্বাসের নামে একটি আধার কার্ড ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশ ধৃত চার ব্যক্তিকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের ৮দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম ও বারাসাত এলাকার বাসিন্দা। ধৃতরা হল সন্দীপ বিশ্বাস (৩১) ওরফে রাজা, শুভম রায় (২৪) ওরফে বাপ্পা, কবিরুল আলী (২৮) এবং আকাশ ধর (২৬)।
ধৃতদের কাছ থেকে যে গাড়িটি পুলিশ উদ্ধার করেছে সেটির সামনে ইংরেজিতে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং পিছনে হিন্দিতে ভারত সরকার লেখা ছিল। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত এবং কাদের কাছ থেকে কত টাকা চাকরি দেওয়ার নামে এই প্রতারকরা প্রতারনা করেছে এবং এই চক্রের সঙ্গে রেলের কোন কর্মী বা আধিকারিক জড়িত কিনা তার তদন্ত শুরু করবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।