ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মাঝ রাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও এই টুইট সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবী করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার অভাজার্ভার অরূপ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তদারকি করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে জানান, বর্ধমানের জাতীয় সড়কের ধারে একটি বিলাসবহুল হোটেলের ১২১ নম্বর রুমে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট কিভাবে লুট করা যায় ও রিগিং পদ্ধতি কি হবে সেই নিয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। টুইটে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে, সাদা পোশাকে সেখানে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পরিকল্পনা হয়, পঞ্চায়েত ভোটে কিভাবে ভোট লুঠ ও রিগিং করা হবে বলে টুইটে দাবী করেন বিরোধী দলনেতা।
তবে এই অভিযোগ খণ্ডন করে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “কে কি টুইট করলো ওইসব ব্যাপারে আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। আমি গতকাল রাত আটটায় বর্ধমান সার্কিট হাউসে যাবার উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে রওনা দিই। রাত দশটায় আমি সার্কিট হাউসে পৌঁছাই। যা আগে থেকেই আমার দপ্তর থেকে বুক করা ছিল। সেই কাগজও আমি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের দিয়েছি। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি সার্কিট হাউসে পর্যবেক্ষকরা আছেন। সুতরাং সেখানে আমার থাকা ঠিক হবেনা জেনে আমি গাড়ি ঘুরিয়ে হোটেলে যাই। যেহেতু আমি মন্ত্রী, আমি কেন সার্কিট হাউসে না থেকে হোটেলে গেলাম তার খোঁজ নিতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করতে পুলিশ সুপার গিয়েছিলেন। আমার কিছু অঘটন ঘটলে সেই দায়ভার তো পুলিশের উপরই বর্তাবে।”
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, গত নির্বাচনে এই জেলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ বাদ ছিলেন না এই জেলায় প্রচারে আসতে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েও এই জেলায় ১৬ টি বিধানসভায় ফলাফল ছিল ১৬-০। তাই আমাদের ভোটের জন্য বৈঠক করতে হয়না, আমাদের সাথে মানুষের সমর্থন আছে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে গুলি চালানোর ঘটনায় তিনি কিছু বলতে এদিন অস্বীকার করেন। তিনি জানান, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার দ্বায়িত্বে আছি, এই জেলার বিষয়ে বলতে পারবো। ওই বিষয়ে যা বলার কলকাতা থেকে বলবে। তিনি দাবী করেন, জেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কোথাও কোন গণ্ডগোল বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।