বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর প্রেসক্রিপশনে বিশেষ কোম্পানির ওষুধের নাম, আলোড়ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: এযেন মৌচাকে ঢিল মারা হল। খোদ সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ থেকে রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখা হচ্ছে একটি বিশেষ কোম্পানীর ওষুধের নাম। শুক্রবার এমনই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়াল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। তাও আবার এই গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছেন খোদ বর্ধমান মেডিক্যালের প্রাক্তন তথা শহরের নামী এক বক্ষ চিকিৎসক। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসপাতালের আউটডোর বিভাগের একটি প্রেসক্রিপশনের ছবি দিয়ে একজন চিকিৎসকের এই পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার দুপুরে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বর্ধমান মেডিক্যালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন চিকিৎসক তথা শহরের নামী চিকিৎসক অনির্বাণ বিশ্বাস। সেখানে বর্ধমান হাসপাতালের আউটডোর বিভাগের প্রেসক্রিপশনের ছবি দিয়ে তিনি দেখান যে, একটি নামী ওষুধ কোম্পানীর ওষুধ আউটডোর প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়েছে। যা সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভূত। তিনি ওই পোস্টে আরও দাবি করেন, ওই ওষুধ কোম্পানীর কয়েকজন ছেলে( মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ) হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ থেকে রোগীদের জোর করে ধরে, বুঝিয়ে বাইরের একটি বিশেষ দোকান থেকে ওষুধ কেনাচ্ছেন।

তাঁর আরও মন্তব্য, ‘যতদিন আমি বিএমসিএইচ-এ ছিলাম এইসব হতে দিইনি। ডাক্তারবাবুরা কিসের লোভে এইসব লিখছেন এসব মানুষ বোঝেন না? কেন আপনারা মার খান বুঝতে পারছেন তো।‘ শুক্রবার দুপুরে এই পোস্টের পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকেই ওই পোস্টের লিংকে ঘটনার নিন্দা করেছেন। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এই ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, এই ধরনের প্র্যাকটিস তার মানে অনেকদিন ধরেই চলছে কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে। স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট একপ্রকার মৌচাকে ঢিল মারা হয়েছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত।

এই প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, ‘রোগীদের তরফে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’ অন্যদিকে হসপিটাল সুপার তাপস ঘোষ বলেন,’ এই ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেননি। তবু ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন