ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দুর্গাপুর: বিগত কয়েক বছরে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। তরুণ তরুণীদের পাশাপাশি বেশি বয়সীদের মধ্যেও এই বিষয় নিয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই ট্রেন্ড কে আরও গতি দিয়েছে নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৭ সাল থেকে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় ও গণজ্ঞাপন বিষয়ে এক বছর মেয়াদী স্নাতোকোত্তর (অ্যাডভান্স ) ডিপ্লোমা কোর্স চালু আছে। এক দশকে এই বিশ্ববিদ্যালয় সমাজে বহু কৃতি সাংবাদিকের জন্ম দিয়েছে। ফের চলতি বছরের জন্য নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়য়ে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে।
সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন (Journalism and Mass Communication) বিষয়ে দু বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্সের (MA Course) জন্য আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করল নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে ভর্তি (Admission) শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। এই মাস্টার্স কোর্সের মেয়াদ হবে দু বছর, যা পাঁচ বছরেও শেষ করা যেতে পারে। নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিষয়ে দূরশিক্ষার মাধ্যমে এমএ করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির আবেদন ফর্ম প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে কাজ করার জন্য একটি প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে এই প্রথম নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় ও গণজ্ঞাপন বিষয়ে দূরশিক্ষা মাধ্যমে মাস্টার্স কোর্স চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। যে কোনও শাখার স্নাতক ডিগ্রিধারীরা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এই কোর্স করার পর শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা পাবেন।
কীভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে খবর সংগ্রহ করে বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে হয়, কীভাবে সাক্ষাৎকার নিতে হয় এবং সংবাদমাধ্যমের আইন-কানুন ও নৈতিক বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে সংবাদ প্রচার করতে হয় সেগুলো জানবেন। এছাড়া ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকতা সম্বন্ধেও ধারণা পাবেন শিক্ষার্থীরা। কোর্স সমাপ্তকারীরা খবরের সম্ভাব্য উৎস থেকে সংবাদ তৈরি ছাড়াও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন কিংবা অনলাইনে প্রচারের জন্য সংবাদ প্রযোজনা বা সম্পাদনা করতে পারবেন। অরিজিৎ বাবু আরও বলেন, এই কোর্সে থিওরির পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। ক্লাসকে আরও আকর্ষণীয় করে কিভাবে পড়ুয়াদের আরও বেশি সমৃদ্ধ করা যায়, সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।