ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, রায়না: কোথাও গতবারের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবার সিপিএমের প্রার্থী, তো কোথাও একই পরিবারের দুই সদস্য শাসক ও বিরোধী দলের প্রার্থী। কোথাও আবার দলের প্রতি অভিমান করে ভোটের আগেই গ্রামশুদ্ধু নেতা, কর্মী সদলবলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। পার্টি অফিসও নিলামে তুলে দিচ্ছে! আরো কতো ঘটনা যে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ঘটে চলেছে তার ইয়ত্তা নেই।
আর এই সমস্ত বিচিত্র সব ঘটনার মাঝেই এবার সামনে এলো অভিনব এক বিষয়। যেখানে প্রার্থী হতে চেয়ে টিকিটের জন্য এত কাড়াকাড়ি, মারামারি, সেখানে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার একটি আসনে কোনো ভোটই হচ্ছে না। ভোট না হবার কারণ, এই আসনে কোনো দলেরই কোন প্রার্থী নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে।এমনকি এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো পাশাপাশি এলাকার কোনো ভোটার এবারে ভোট দিতে পারবে না বলেও গুজব ছড়িয়েছে। যদিও সেটা ঠিক নয় বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর সরকারিভাবে বিচিত্র এই তথ্য সামনে আসে। জানা গেছে, রায়না ২ নম্বর ব্লকের গোতান এলাকার ৬ নং সংসদের ৭ নম্বর সিটে ভোট হচ্ছে না আগামী ৮ তারিখ। কিন্তু কেন এমন হল? এলাকার প্রাক্তন প্রধান সাহেব আলি খান জানান, এখানে বিরোধী দলগুলি কোনো প্রার্থী দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তার শংসাপত্র দিতে পারেন নি। আর এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শেখ জিয়াউর রহমান জানান, বিকল্প যাকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল তিনিও ব্যক্তিগত কারণে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ তার ফলে ওই আসনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নেই। স্বাভাবিকভাবেই ভোট নেই ওই আসনে।
জানা গেছে, ২৭০ নম্বর বুথের এই আসনটি কিন্তু ওবিসি মহিলা সংরক্ষিত। বিরোধী প্রার্থী ছিল না। শাসকদের নিজেদের হিসেবের ভুলে ভোট হচ্ছে না ওই আসনে। এলাকার বাসিন্দা শেখ জুলফিকার আলি বলেন, “গনতন্ত্রের পক্ষে এটা ভাল কথা নয়। উন্নয়নের কাজে অসুবিধা হবে এর ফলে।” যদিও রায়না ২ নং ব্লকের বিডিও অনীশা যশ জানিয়েছেন, ” প্রার্থী না থাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে ভোট হবে না। বাকি সব জায়গাতেই ভোট হচ্ছে। ওই বুথেও পঞ্চায়েত সমিতির এবং জেলা পরিষদের আসনে ভোট হবে। পরবর্তীকালে যখন সরকারি স্তরে নির্দেশ আসবে তখন আবার এই আসনে ভোট হবে।”