ব্যবসা

বর্ধমানে চৈত্র সেল নিয়ে জারি বিজ্ঞপ্তি, বিসি রোড ও বি বি ঘোষ রোডে বসতে পারবে না কোন হকার

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান পুর এলকার জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিদার্থে এবং যানজট মুক্ত রাখতে এবছর বি সি রোড ও বি বি ঘোষ রোডের দুদিকে কোন হকার চৈত্র সেল নিয়ে বসতে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করল পুরসভা। পরিবর্তে পুরসভার কাছে নাম নথিভুক্ত করে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টাউন হলে বসে চৈত্র সেলের ব্যবসা করতে পারবে এই সমস্ত অস্থায়ী হকাররা। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই বর্ধমান থানার পুলিশ কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ করার আবেদন জানানো হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গেছে।

পুরসভা যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা এইরকম – ‘এতদ্বারা জানানো যাইতেছে যে, এ বছর চৈত্র সেল বর্ধমান টাউন হলে অনুষ্ঠিত হবে। যারা ষ্টল নিতে ইচ্ছুক তারা অবিলম্বে ইং- ০৫/০৩/২০২৩ (মার্চ) মধ্যে পৌরসভায় লাইসেন্স বিভাগে নাম নথিভুক্ত করুন। কার্জন গেট হইতে রাজবাটি (ভেরিখানা) পর্যন্ত এবং চৌধুরী বাজার, বিগবাজার হইতে রাণীগঞ্জ চৌমাথা পর্যন্ত কোনো ব্যবসাদার দোকানের বাইরে কোনো প্রকার রাস্তা দখল করে সেলের দ্রব্য বিক্রয় করতে পারবেন না।’

পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন,’ আমরা ইতিমধ্যেই শহরের ব্যস্ততম রাস্তা বিসি রোড কে যানজট মুক্ত রেখে সাধারণের চলাচলের উপযুক্ত করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবার পয়লা চৈত্র থেকে সারা মাস যাতে বি সি রোডে কোন হকার সেলের পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসে ব্যবসা না করে তার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি রানীগঞ্জ বাজার মোড় থেকে স্টেশন মোড় পর্যন্ত বি বি ঘোষ রোডের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে এই ব্যবসায়ীরাই যাতে তাদের চৈত্র সেলের ব্যবসা করতে পারেন তার জন্য টাউন হলের মাঠে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবছর কার্জন গেট থেকে বড়বাজার পর্যন্ত বিসি রোডের দুদিকের ফুটপাথ ও দোকানের সামনের অংশ জুড়ে যেভাবে হকাররা চৈত্র সেলের পসরা নিয়ে বসেন, তাতে শহরের মানুষকে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হয়। তীব্র যানজটে নাকাল হন বহু মানুষ। তাই এইবছর থেকে বিসি রোডে চৈত্র সেলের কোন অস্থায়ী ছাউনী বসতে পারবে না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ কর্যকর হবে পয়লা চৈত্র অর্থাৎ ১৬মার্চ থেকে। জারি থাকবে পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত।

পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর বিসি রোডের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের একাংশ নিজেদের মুনাফা অর্জনের জন্য তাদের দোকানের সামনের অংশে হকারদের চৈত্র সেলের পসরা নিয়ে বসার অনুমতি দিয়ে দেয়। এরজন্য অনেকেই মোটা টাকা ভাড়া বাবদ সংগ্রহ করে এই সমস্ত হকারদের কাছ থেকে। অবরুদ্ধ হয়ে যায় এই দুটি রাস্তা। ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে টানা একমাস ধরে হয়রানির শিকার হতে হয়, অন্যদিকে লক্ষাধিক টাকার ব্যবসা হলেও পুরসভার এই খাতে কোন আয় আসে না। আর তাই এবার পুরসভা ‘এক তিরে দুই পাখি মারার’ পরিকল্পনা নিয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Recent Posts