ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: বৈধ বালি ঘাটের চালান ব্যবহার করে অবৈধভাবে নদীর অন্য জায়গা থেকে বালি তুলে পাচারের অভিযোগ ছিলই। এবার প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে প্রশাসন থেকেই বন্ধ করে দেওয়া বালি খাদানেই নেট মেশিন নামিয়ে দেদার বালি লুঠের অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লকের দামোদর নদের রূপসা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ যে বন্ধ বালি ঘাট থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার কাজ চলছিল সেটি গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত ও ধৃত বীরভূমের এনামুল হকের ছিল। জেলা ভূমি দপ্তর থেকে কয়েকমাস আগেই এই বালি ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় কিছু বালি মাফিয়া নদীর সেই অংশেই নেট মেশিন, এক্সক্লাভেটর বা জেসিবি মেশিন নামিয়ে দেদার দিনের পর দিন বালি তুলে পাচার করে যাচ্ছিল।
বুধবার দুপুরে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের নির্দেশে খন্ডঘোষ ব্লক ভূমি আধিকারিকের নেতৃত্বে রূপসা এলাকার দামোদরের একাধিক বালি ঘাটে অভিযান চালানো হয়। সব কটি অবৈধ বালি ঘাটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ইউনিস রিসিন ইসমাইল। পাশাপাশি এই সমস্ত বালি ঘাট থেকে বালি বোঝাই করে যাওয়ার সময় এদিনই ১০টি বালির গাড়ির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন খন্ডঘোষ ভূমি আধিকারিক।
সব কটি গাড়িকেই ‘লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে দপ্তর সুত্রে খবর। অর্থাৎ ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (WBMDTCL) এর পোর্টালে এই গাড়ি গুলোর নম্বর আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট জরিমানা দেওয়ার পরই এই গাড়ি গুলো নতুন করে চালান নিয়ে বালি পরিবহন করতে পারবে বলেই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় খন্ডঘোষের রূপসা, নারিচা, কুমিরখোলা প্রভৃতি এলাকার দামোদর নদের অবৈধ বালি কারবারিদের মধ্যে আলোড়ন পড়েছে।