ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আগ্নেয়াস্ত্র সহ বর্ধমানের গোদা ও রায়নার শ্যামসুন্দর এলাকা থেকে বর্ধমান থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর পুলিশি হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত রবি দাস কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বর্ধমানের পালিতপুর এলাকা থেকে শনিবার রাতে আরো এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম চন্দন দাস। তার বাড়ি পালিতপুর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রের অবৈধ কারবারের সঙ্গে ধৃতের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এরআগে যে দুজন কে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সঙ্গেও ধৃত চন্দন দাসের যোগাযোগ ছিল। তদন্তের স্বার্থে রবিবার ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে চেয়ে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। যদিও ধৃত চন্দন দাসের কাছ থেকে নতুন করে কোন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
ডিএসপি ট্রাফিক ২ রাকেশ চৌধুরী বলেন,” আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত দু জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো এক ব্যক্তিকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই কারবারের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে, কিভাবে, কতদিন ধরে তারা এই ব্যবসা চালাচ্ছিল তারা তার হদিস পেতে এবং এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খুঁজে পেতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিন ধৃত চন্দন দাসের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বর্ধমান আদালতে।”
উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে বর্ধমানের গোদা এলাকার জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে বর্ধমান শহরের বি সি রোডের খাঁ পাড়া এলকার বাসিন্দা রবি দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান সাটার বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। রবি দাস কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এরপর শনিবার সকালে রায়নার শ্যামসুন্দর এলাকার নিজের বাড়ি থেকে প্রদীপ অধিকারী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছেও পুলিশ একটি ওয়ান সাটার বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিল। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করার পর রবি দাসকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত ও প্রদীপ অধিকারীর জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন। এরপর শনিবার রাতেই পালিৎপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হল আরো একজনকে।