ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: ফের রেল কর্মীদের উদাসীনতা আর গাফিলতির নজির দেখা গেলো বর্ধমান হাওড়া মেইন লাইনের দেবীপুর রেল স্টেশনে। শুক্রবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এক ব্যক্তি দেবীপুর রেল স্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে রেল লাইনে থেকে পড়ে যায়। গুরুতর জখম হয় ওই ব্যক্তি। এরপর প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে রেললাইন থেকে উদ্ধার করে স্টেশনে নিয়ে আসে। দেখা যায় তার বাম হাতটি একপ্রকার খোয়া গেছে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ওই ব্যক্তি। দ্রুত প্রত্যক্ষদর্শীরা স্টেশন মাস্টারকে খবর দেয়। অভিযোগ, সেইসময় কিন্তু কোন রেল কর্মীকে পাওয়া যায়নি। প্রায় এক ঘন্টা স্টেশনের উপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ওই গুরুতর জখম ব্যক্তি। এরপর ওই আহত ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে এলাকার মানুষ তার বাড়িতে খবর দেয়।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি হুগলির পোলবা থানায় এলাকায়। ঘন্টাখানেকের মধ্যে ওই যাত্রীর বাড়ির সদস্যরা স্টেশনে হাজির হয়। যদিও তখনো পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার পর কোনো রেল কর্মী বা আধিকারিকদের দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরপর বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ এবং ওই আহত ব্যক্তির বাড়ির লোক তারা জখম ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আপ বর্ধমান লোকালে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। আরো জানা গেছে, ওই আহত ব্যক্তি রেলেই কর্মরত ছিলেন এবং ডিউটি সেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই দেবীপুর স্টেশনে রেলের উদাসীনতার চেহারা লক্ষ্য করা গিয়েছিলো। কিছুদিন আগে এই দেবীপুর স্টেশনেই এক স্কুল ছাত্রী ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়। সেই সময়ও কোন রেলের আধিকারিককে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ও এক সংবাদ কর্মীর ও স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় জখম ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে বারবার কেনো রেলের এই উদাসীনতা ও গাফিলতির চেহারা সামনে আসছে? দুর্ঘটনাগ্রস্থ যাত্রীদের পাশে কেন রেলে কর্মীদের সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না? ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে।