ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: দামোদর নদ থেকে বেআইনি ভাবে বালি তুলে রাস্তার ধারে ওজন সেতু (weigh bridge) চত্বরে মজুদ করে সেই বালি জেসিবি মেশিন দিয়ে লরিতে তুলে বিনা চালানে বিক্রি চলছিল। খন্ডঘোষ ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে খন্ডঘোষ পুলিশ সোমবার অভিযান চালিয়ে ওজন সেতুর এক ম্যানেজার ও দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি একটি লরির চালক কেও গ্রেপ্তার করেছে। আটক করা হয়েছে ৭০০সিএফটি বেআইনি বালি বোঝাই লরি টিকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে অভিযোগ আসছিল নদী থেকে চুরি করে বালি তুলে সালুন এলাকার একটি ওয়ে ব্রিজের জায়গায় মজুদ করা হচ্ছে। পরে সেই বালি অন্য বিভিন্ন ট্রাকে করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে ব্লক ভূমি রাজস্ব দপ্তরকে জানালে দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ওয়ে ব্রিজে অভিযান চালানো হয়। প্রায় ৫ হাজার সিএফটি চোরাই বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি জেসিবি মেশিন ও একটি বালি বোঝাই লরি আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার জনকে। ধৃত ব্যক্তিরা হল আবু নৌমান মিদ্দ্যা ওরফে মিলন মিদ্যা, তার বাড়ি গলসি থানার রামগোপালপুর ঢোলা। নাজিমুদ্দিন মল্লিক, শেখ জুলফিকার আলী ও মহাদেব রায়। এদের তিনজনেরই বাড়ি খন্ডঘোষ থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায়।
বেআইনি ভাবে নদী থেকে বালি চুরি, কোন বৈধ কাগজ ছাড়া বালি বিক্রি করার অপরাধে চারজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে এই চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত রয়েছে, এবং কোথায় বালি পাচার করা হতো সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক এদের মধ্যে ওয়ে ব্রিজের এক ম্যানেজার, একজন কর্মী ও লরির চালককে তিনদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।