---Advertisement---

অসময়ে বৃষ্টিতে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় পূর্ব বর্ধমানের আলু চাষিরা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশকিছু অংশে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জেলার আলু চাষিরা। যদিও বৃষ্টির কারণে জেলায় ধান চাষে কোনোও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর। তবে, আলু চাষের ক্ষেত্রে বেশকিছু পরামর্শ মেনে চলার কথাও জানানো হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলায় গড়ে ৩৫-৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে, জামালপুর ব্লকের পর্বতপুর, জ্যোতশ্রীরাম , শিয়ালী, মাঠশিয়ালী,কোড়া ও বর্ধমান ১ ব্লকে বেশকিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে জামালপুর ব্লকে আলু চাষের জমি রয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

বিজ্ঞাপন

 

জামালপুরের কৃষক বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ’মাঠে এখনো জল দাঁড়িয়ে আছে, তাতে আলু পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তিনি এও বলেন, ধান চাষে সেভাবে দাম পাওয়া যায় না। অর্থকড়ি ফসল বলতে গেলে এই আলু চাষ। এর উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় আমাদের। কিন্তু যেভাবে বৃষ্টির কারণে আলুতে ক্ষতি হয়েছে তাতে দেনা মেটানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করছি।’ অন্যদিকে আরেক কৃষক কালিদাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃষ্টির ফলে জমির বেশ ক্ষতি হবে। ধার দেনা করে চাষ করে এখন কিভাবে দেনা শোধ করবেন সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। সরকারের কাছে আবেদন করছেন যাতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের বীমার ব্যবস্থা করে। বীমার টাকা পেলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরেক কৃষক প্রভার সাঁতরা তিনিও বলছেন, ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে, এবার সরকারের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে আছেন তিনি। এবিষয়ে ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীবুল ইসলামকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৭১ হাজার ৮০০ হেক্টর এলাকায় আলু চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে পোখরাজ প্রজাতির আলু চাষ হয়ে থাকে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর এলাকায়। এই আলু তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি কারণে মাঠে থাকা আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, জ্যোতি আলু পরিণত হতে এখনও তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে জ্যোতি আলু চাষেও ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন চাষিরা।

See also  বর্ধমানের লক্ষীপুরমাঠে প্রাণঘাতী হামলার ৭২ঘন্টা পরেও অধরা অভিযুক্তরা, থানার সামনে বিক্ষোভে পরিবারের লোকজন

জেলা কৃষি দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের পর বৃষ্টিপাতের সেভাবে পূর্বাভাস নেই। আলু চাষ মূলত উচুঁ জমিতে হয়ে থাকে। ফলে আলু চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা সেভাবে দেখছে না কৃষি দফতর। তবে, রোগের সংক্রমন থেকে বাঁচাতে আলু চাষিদের বেশকিছু পরামর্শ মেনে চলা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা নুকূল চন্দ্র মাইতি জানান,” বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকঘন্টা বৃষ্টির পর জেলায় আর বৃষ্টিপাত হয়নি। জেলায় আলু চাষের এলাকা ছাড়া অন্য অংশের জমিতে বোরো ধান রয়েছে।

ধান চাষের ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত সহায়ক হবে। তবে আলু চাষীদের ফসল বাচাতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যেসব আলু জমিতে জল জমে রয়েছে সেখানে শীঘ্রই জল বের করে দেওয়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া, ছত্রাকের সংক্রমন থেকে বাঁচাতে নির্দিষ্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি ব্লকের আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী পাঠানো হয়েছে। এলাকার চাষিরা ব্লক দফতর থেকে এই বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারবেন।”

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---