ভরা বর্ষাতেও বেপরোয়া বালি মাফিয়ারা, পরিবর্তন হচ্ছে নদীর গতিপথ! উদাসীন প্রশাসন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: প্রশাসনিক উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে ঘোর বর্ষাতেও দামোদর নদ থেকে সম্পূর্ন বেআইনি ভাবে বালি কেটে পাচার করে চলেছে গলসি ২নং ব্লকের গোহোগ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু বালি মাফিয়া। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে যত্রতত্র অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নদীর বালি কাটার ফলে কার্যত নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। ফলে একদিকে যেমন চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে নদীর স্বাভাবিক পথ পরিবর্তন হতে বসেছে। নদীর মধ্যেই কয়েকশো বিঘে জমি ৩ চাষের উপযুক্ত রয়েছে। এলাকার চাষিরা চাষ করে ফসল ফলাতে শুরু করেছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে এলাকার মানুষ সিঁদুরে মেঘ দেখছে।

বিজ্ঞাপন

দিনের পর দিন এক শ্রেনীর অসাধু বালি কারবারিরা সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ চুরি করে চললেও কোন হেলদোল নেই পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের। এমনকি গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের গোহগ্রাম বাবু পাড়ার ঢাল সংলগ্ন টেনি যাদবের ঢাল নামে পরিচিত যে ঢাল দিয়ে নদীর চড় থেকে ট্রাক্টারে করে বালি চুরি করে পাচার চলছে, নদীর সেই অংশটি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস এলাকার ভগবতীপুর মৌজার মধ্যে পড়ে বলে সূত্র মারফত খবর। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালি মাফিয়ারা বালি চুরি করছে বাঁকুড়া জেলার অধীনে নদীর এলাকা থেকে, আর সেই বালি এনে গোপডাল, বাঁশতলা সহ বিভিন্ন জায়গায় মজুদ করে পাচার করছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার অন্তর্গত বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে।

স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ, এই কাজে সরাসরি যুক্ত রয়েছে এলাকার শাসকদলের মদতপুষ্ট কিছু লোকজন। এমনকি কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এর ট্রাক্টর এই বেআইনি বালি পাচারের কাজ করছে বলেও অভিযোগ করছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। সংবাদ মাধ্যমে এই বালি চুরির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও ব্লক ভূমি দপ্তর কিংবা পুলিশ এই চুরি আটকানোর কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বরং বেপরোয়া বালি চোরেরা এই বর্ষাতেও দিনের বেলাতেই নদী থেকে দেদার বালি তুলে ট্রাক্টরে করে পাচার করছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদীর মধ্যে দিনের বেলা থেকেই প্রচুর ট্রাক্টর লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে। তাদের আরো অভিযোগ, এই বালি মাফিয়ারা এতটাই বেপরোয়া যে কোনো সরকারি নির্দেশ মানার প্রয়োজনই মনে করে না তারা। 

বাঁকুড়ার ইন্দাস ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সমীর কান্তি বিশ্বাস কে এই বালি চুরির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,’ ভগবতীপুর মৌজায় নদী থেকে বালি তোলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো। যদিও ওই এলাকায় বালি তোলার কোনো অনুমোদন এই মুহূর্তে নেই, যদি কেউ বা কারা বেআইনি ভাবে নদীতে নামে সেক্ষেত্রে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। ‘ অন্যদিকে গলসি ২ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রবোধ আঢ্যর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।

আরো পড়ুন