পারিবারিক ও গার্হস্থ্য জীবনে নির্যাতনের আত্মজীবনী লিখলেন রেনু খাতুন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রেনু খাতুনের কথা কারোর অজানা নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই মেয়েটি ভালোবেসে বিয়ে করেছিল নিজের মনের মানুষ কে। কিন্তু তখনও সে জানতে পারেনি, তাঁর জীবনে কি লেখা রয়েছে। কি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে বুঝতে পারলো, যখন সে চাকরি পরীক্ষায় বসল, চাকরির জয়েনিং লেটার পেল। স্বামী চায়নি সংখ্যালঘু পরিবারের বধূ চাকরি করার জন্য বাইরে যাক। অনেক বোঝানোর পরেও যখন স্বামীকে বোঝাতে পানেনি রেনু, তখন একপ্রকার জেদ ধরেই সে জানিয়ে দেয় চাকরি করতে যাবে।

বিজ্ঞাপন

আর তারপরেই তাঁর জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ সেই দিন। বন্ধুর সাহায্যে তার স্বামী রেনুর ডান হাতের কব্জিটাই কেটে দেয়। এরপরে শুরু হয় অন্য লড়াই। ভালোবাসার সেই মানুষটার বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়ান রেনু। হার মানতে না শেখা রেনু কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রেনু পাশে সরকারের থাকার কথা জানিয়ে দেন। বর্ধমানে এসে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরেন রেনুকে। সরকারি খরচে কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে দেন।
বর্তমানে তিনি নার্সিং পদেই কর্মরত। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিয়ন্ত্রনাধীন রয়েছেন।

এবারে সেই রেনু খাতুন তার নিজের জীবনের উপরে বয়ে যাওয়া এই সময় কে তুলে ধরছেন বইয়ের পাতায়। পারিবারিক ও গার্হস্থ্য জীবনে নিজের মর্মান্তিক জীবন কাহিনীর কথা লিখলেন তিনি। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় কলকাতার একটি নামি পাবিলার্স সংস্থা বইটি প্রকাশ করতে চলেছেন শনিবার। নিজের বই প্রকাশের বিষয়ে এতটাই গোপনীতা অবলন্বন করেছেন রেনু, যাতে কেউ বই প্রকাশের আগে বিষয়টি জানতে না পারে। তবুও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন ধরে চুপ থেকেছেন। বলেননি কিছুই।

আরো পড়ুন