খণ্ডঘোষে রাইসমিলের ইট গাদা থেকে দশটি ডিম সহ আল কেউটে উদ্ধার

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, খণ্ডঘোষ: রাইসমিলের ভিতর নির্মাণ কাজ করার সময় ইট আনতে গিয়ে একপ্রকার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন দুজন শ্রমিক। জানা গেছে শ্রমিকরা যখন ইটের গাদা থেকে ইট আনতে যায় সেই সময় হিস হিস গর্জন শুনে কোনরকমে ছুটে পালিয়ে এসে প্রাণে বাঁচেন। তারা বুঝতে পারেন ইটের গাদার ভিতর কোথাও বড়সড় বিষধর সাপ লুকিয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে রাইস মিল মালিককে খবর দেওয়া হলে তারাই বন বিভাগে খবর দেন। বন বিভাগের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইট গাদা থেকে প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা একটি মা আল কেউটে সহ দশ টি ডিম উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

বন বিভাগের উদ্ধারকারী দলের সদস্য বাপন বৈরাগ্য বলেন, ” এদিন সকালে খণ্ডঘোষের বদুলিয়া এলাকার একটি রাইস মিল থেকে ফোন করে সেখানে বিষধর সাপের উপস্থিতির কথা জানায়। আমরা সেখানে যাওয়ার পর লক্ষ্য করি ইটের গাদায় ফাঁকে একটি বিশাল আল কেউটে বেশ কয়েকটি ডিম কে জড়িয়ে শুয়ে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ডিম থেকে মা কেউটে কে আলাদা করতে প্রথমে বেশ বেগ পেতে হয়। এমনিতেই আল কেউটে প্রচণ্ড খিপ্র প্রকৃতির হয়। তার উপর ডিম থেকে সরিয়ে আনা বেশ বিপজ্জনক ব্যাপার। যাইহোক শেষমেশ ক্যাচারের সাহায্যে সাপটিকে ধরে বস্তা বন্দী করা হয়। দশ টি ডিম কেও সাবধানে উদ্ধার করা হয়েছে। মা কেউটে সহ ডিম গুলোকে রমনা বাগান ফরেস্টে নিয়ে আসা হয়েছে।”

জেলা বিনবিভাগিও আধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন,” এর আগেও একাধিক জায়গা থেকে আমাদের উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা প্রচুর ডিম সহ বিষধর সাপ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ে সেই সমস্ত ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর পর তাদের বিভিন্ন জঙ্গলে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবারেও কেউটে সাপ টিকে অন্যত্র ছেড়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ডিমগুলো ফুটলে বাচ্চাদের নির্দিষ্ট জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের থেকে যে অনেক বেড়েছে তার প্রমাণ সাপ বা অন্য বন্য প্রাণীদের ক্ষতি না করে আমাদের খবর দিয়ে দেওয়া। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের প্রাণীদের উদ্ধার করার জন্য তারাই আমাদের খবর দিচ্ছেন। এটা পরিবেশের সামঞ্জস্য রক্ষার ক্ষেত্রে খুব ভাল দিক।”

আরো পড়ুন