পশ্চিমবঙ্গ

বর্ধমানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা পড়ল আসামের বাসিন্দা, তদন্তে পুলিশ

FOCUS BENGAL

FOCUS BENGAL

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পুজোর আগেই আইন শৃংখলার কারণে গোটা শহর জুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। এবার সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজই বর্ধমান পুলিশ কে সাহায্য করল আসাম থেকে বর্ধমানে এসে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করার আগেই ধরে ফেলতে। মঙ্গলবার বর্ধমান থানার পুলিশ গুডশেড রোড এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি সহ অসমের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম আলি হোসেন ওরফে হোসেন। তার বাড়ি অসমের হোজাই থানার ভুঁইঞাপট্টিতে ।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের গুডস শেড রোড এলাকায় হনুমান মন্দিরের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল এক ব্যক্তি। থানায় সিসি ক্যামেরার মনিটর রুমে বসে সেই ছবি দেখতে পেয়েই ঘটনাস্থলে টহলরত পুলিশ ভ্যানে খবর দিয়ে দেয় পুলিশ। ইনফরমেশন অনুযায়ী দ্রুত পুলিশের গাড়ি পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট জায়গায়। পুলিশের গাড়ি দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে আলি হোসেন। পুলিশ ধাওয়া করে দুষ্কৃতিকে ধরে ফেলে। ধৃতের কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তি অন্য একজন কে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতে এখানে এসেছিল। যদিও সেই ব্যক্তি সময়ে না পৌঁছানোয় এলাকায় অপরিচিত আলি হোসেন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। আর সেই ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পরই সময় নষ্ট করেনি পুলিশ। বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘিরে ফেলে ওই দুষ্কৃতিকে।

মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। আরও গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে এবং ধৃতের সঙ্গে এই কারবারে আরো কারা জড়িত রয়েছে জানতে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইলে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আলি হোসেন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে আসাম থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে কাদের সরবরাহ করার উদ্দেশ্য ছিল সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের সঙ্গে স্থানীয় আরও কারা যুক্ত রয়েছে তারও তদন্ত চালানো হবে।

বিজ্ঞাপন

Advertisement