চাষবাস

বর্ধমানের তেলকল গুলিতে রাইস ব্র্যান পাঠানো স্থগিত করল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন, বন্ধ তেল উৎপাদন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: রাইস ব্র্যানের ‘খাদ’ বাদ দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব রাইস মিল ও রাইস ব্র্যান অয়েল কারখানা কর্তৃপক্ষের। তার জেরে ওই রাইস ব্র্যান অয়েল কারখানায় বা তেল কলে ব্র্যান দেওয়া বন্ধ করেছে রাইস মিল সংগঠন। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার একটি রাইস মিল থেকে ওই তেল কলে ব্র্যান পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু তা আটকে দেয় রায়না ২ব্লকের কয়েকটি রাইস মিল মালিক। দুটি সংঘটনের মধ্যে আলোচনার পরই নতুন করে ব্যবসা শুরু করা যাবে বলেই জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের রায়না ২ব্লকের সংগঠক তথা রাইস মিল মালিকরা।

জানা গেছে, ধান থেকে চাল তৈরির সময় এই ব্র্যান পাওয়া যায়, যা থেকে তেল তৈরি করা হয়। বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কাশীনাথ হাটির অভিযোগ, নিয়ম ছিল তেল কলে বস্তাপিছু ১০০ গ্রাম ব্র্যান বাদ দেওয়া হয় খাদ হিসেবে। আচমকাই তেল কলগুলি তা বাড়িয়ে ২০০ গ্রাম করে দেয়। এছাড়াও ব্যবসার ক্ষেত্রে একাধিক আর্থিক লেনদেনের পরিবর্তন ঘটিয়ে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর এইসবই করা হয়েছে অধিক মুনাফা লাভের জন্য। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ রাইস মিল মালিকরা ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

এব্যাপারে ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হলেও প্রথমে রাইস ব্র্যান সংগঠন তাতে রাজি হয়নি। পরে একটি চিঠি দিয়ে আলোচনার কথা জানায় তারা। এই ব্যবসায় একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা যাতে মেটে তার জন্য আগামী সাত দিন আমরা  সলভেন্ট প্ল্যান্ট গুলোতে ব্র্যান পাঠানো বন্ধ রেখেছি।

অন্যদিকে, তেলকল সংগঠনের পক্ষে গোপাল গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ব্যবসায়িক পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আগের একটা সিস্টেম ছিল সেটার কিছু পরিবর্তন এসেছে, সেটা রাইস মিল কর্তৃপক্ষ মানছে না। ব্র্যান সাপ্লাই বন্ধ রেখেছে। ফলে তেল উৎপাদন বন্ধ। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।

Recent Posts