রাজনীতি

জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেকের মুখোমুখি আরএসএস কর্মী! কারালাঘাট ব্রিজে দীর্ঘদিন বন্ধ আলো জ্বালানোর আর্জি, আলোড়ন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে এবার রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের (RSS) কর্মীর কাছে স্থানীয় সমস্যার অভিযোগ শুনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থেকে রায়না যাওয়ার পথে বড়বৈনান এলাকায় রাস্তার ধারে এক আরএসএস কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ। আরএসএস সংগঠনের নির্দিষ্ট পোশাক পড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই কর্মী। অভিষেক গাড়ি থেকে নেমে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে স্যার বলে সম্বোধন করেন ওই আরএসএস কর্মী।

ওই আরএসএস কর্মীর অভিযোগ ছিল জামালপুর এলাকায় থাকা হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতু বা করালাঘাট ব্রিজে বিগত কয়েক বছর ধরে আলো জ্বলে না। স্থানীয় মানুষ বহুবার প্রশাসন কে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। ফলে  খুবই অসুবিধা মধ্যে যাতায়াত করতে হয় এলকাবাসী কে। ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও আলো জ্বলে না। সেখানে আলোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান তিনি। ওই ব্যক্তি কার্যত অভিষেকের কাছে মিনতি জানান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সব শুনে তাঁর যোগাযোগ নম্বর নিয়ে রাখেন। আশ্বাস দেন, তিনি অবশ্যই সমাধানের চেষ্টা করবেন। এই ঘটনার কথা টুইটে জানিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) দাবি, তারা এভাবেই রাজ্যজুড়ে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে।  

অভিষেক বন্দোপাধ্যায় পরে রায়নার কাইতির জনসভায় বলেন, ‘ একজন আরএসএস কর্মী তার এলাকার অসুবিধার কথা বিজেপির কাছে না জানিয়ে আমার কাছে জানিয়েছেন। এটা খুবই প্রশংসনীয়।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার অভিযোগ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ উনি যে রাজনৈতিক মানসিকতার ব্যক্তি হন না কেন তার অসুবিধার কথা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার বা দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ না জানিয়ে আমার কাছে জানিয়েছেন, আমি এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।’

প্রসঙ্গত জামালপুরের এই কারালাঘাট ব্রিজে সন্ধ্যার পর থেকেই আলো বন্ধের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় লোকজন একাধিকবার প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন দামোদর নদ থেকে বালি নিয়ে শয়ে শয়ে ওভারলোড গাড়ি যাতায়াত করে, আর এই অবৈধ কারবার চালাতে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্যই এক শ্রেণীর বালি মাফিয়ার অঙ্গুলিহেলনে এই ব্রিজের আলো বন্ধ থাকে। স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি এই অভিযোগ জানানোয় ভাল হয়েছে। এখন দেখা যাক কবে থেকে ব্রিজের আলো স্বাভাবিক হয়।