স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধেই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার শিক্ষক

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,নাদনঘাট: দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো খোদ স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে নাদনঘাট থানায়। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে শুক্রবার কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতর নির্দেশ দিয়েছেন কালনা আদালতের বিচারক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ওই স্কুলের শিক্ষক, (যিনি প্যারাটিচার) নাম ভবতোষ বিশ্বাস ওই ছাত্রীকে একটি দামি মোবাইল ফোন কিনে দেয় মাস তিনেক আগে।
এরপর থেকে ওই ফোনেই চলতো রাতে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে কথাবার্তা। এরপর ছাত্রীর মা মেয়ের কাছ থেকে ফোনটি কেড়ে নিলে দেখতে পান মোবাইলে আপত্তিকর কিছু ছবি রয়েছে। এরপর ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করলে ছাত্রী জানায়, তার শিক্ষক ভবতোষ বিশ্বাস তাকে মোবাইল ফোনটি দেয় মাস তিনেক আগে। তখন ছাত্রীটির মা দেখেন ওই মোবাইলের ভেতর রয়েছে তার মেয়েরই অশ্লীল কিছু ভিডিও ফটোগ্রাফি। 

ছাত্রীটির মা মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে গত ১১আগস্ট স্কুল থেকে একটি পরিত্যক্ত পেপার মিলে নিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষক ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়। এবং ওই নতুন মোবাইল ফোনেই ছবি তোলে। এরপর ওই ঘটনা জানাজানি হতেই ছাত্রীর মা নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে নাদনঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ভবতোষ বিশ্বাস নামের এক শিক্ষককে। ধৃত ভবতোষ বিশ্বাস পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন প্যারাটিচার বলে জানা গেছে।

পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে শুক্রবার ধৃত ভবতোষ বিশ্বাসকে কালনা আদালতে পাঠায়। বিচারক পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে ধৃত শিক্ষককে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে বের হবার পথে সাংবাদিকদের অভিযুক্ত শিক্ষক জানান, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ তাকে ফাঁসানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় পূর্বস্থলী বিদ্যানগর গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরো পড়ুন