তাপপ্রবাহ থেকে বন্যপ্রাণীদের স্বস্তি দিতে রমনাবাগানে চালু হচ্ছে স্প্রিংকলার সিস্টেম

Souris  Dey

Souris Dey

সৌরীশ দে,বর্ধমান: সোমবার বর্ধমানের তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৩ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৫ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়াবিদদের মতে রীতিমত তাপপ্রবাহের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে জেলায়। এই গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ থেকে পশু পাখিদের একমাত্র ভরসা এখন শুধুই জল। সারাদিন শুধু জল খেয়ে, শরীর জলে ভিজিয়ে একটু স্বস্তি পাবার চেষ্টা চালাচ্ছে সবাই।

বিজ্ঞাপন

আর তাই জলের সরবরাহের মাত্রা আরো বাড়িয়ে পশু পাখিদের আরো কিছুটা আরাম দিতে এবার বর্ধমান রমনাবাগান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক অভিনব ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই বন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহ থেকেই রমনাবাগানের পশু পাখিদের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিটি এনক্লোজারে এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করে দেওয়া হবে বলে সোমবার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন।

বিভাগীয় বনাধিকরিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন,’ এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে বন্য প্রাণীদের কিভাবে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখা যায় তার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রতিদিন পশু পাখিদের পানিও জলের সাথে ওআরএস এবং গ্লুকোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঘ, ভল্লুক সহ অন্য প্রাণীদের নিয়মিত পাইপের মাধ্যমে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে। ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করে খাবার দেওয়া হচ্ছে পশু পাখিদের।

এবার পশু পাখিরা যাতে সারাদিন জলের সংস্পর্শে থাকতে পারে তারজন্য প্রতিটি এনক্লোজারে লাগানো হচ্ছে স্প্রিংকলার (sprinkler) সিস্টেম। যার মাধ্যমে একই জায়গা থেকে একগুচ্ছ নলের মাধ্যমে একটা বিস্তীর্ণ জায়গায় জল ছিটিয়ে দেওয়া যাবে। আর এরফলে একদিকে যেমন পশুদের বিচরণের জন্য যে ক্ষেত্র অর্থাৎ মাটি জলে কিছুটা ভিজে ঠাণ্ডা থাকবে, একইসাথে পশু পাখিরাও নিজেদের মতো করে যখন তখন গা ভিজিয়ে নিতে পারবে। ফলে এই প্রখর উত্তাপের হাত থেকে বেশ কিছুটা স্বস্তি পবে তারা। আমরা আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই স্প্রিংকলার (sprinkler) সিস্টেম রমনাবাগানে চালু করে দেওয়া যাবে।’

ছবি – ইন্টারনেট

আরো পড়ুন