পশ্চিমবঙ্গ

শনিতে যাত্রা রবি তে, সফল উৎক্ষেপণ আদিত্য এল-ওয়ানের

FOCUS BENGAL

FOCUS BENGAL

তন্ময় চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান: ইসরোর সাফল্যের মুকুটে আরো একটি গর্বের পালক সংযোজিত হল। সফল চন্দ্রাভিযানের পর এবার সূর্যের দিকে পাড়ি দিল আজ ২ সেপ্টেম্বর, সকাল 11 টা 50 মিনিটে। ৩২১ টন ওজনের PSLV-CS7 রকেটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু হল আদিত্যর। ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে পাড়ি দিয়ে আদিত্য অবস্থান করবে এল-১ ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে যা পৃথিবীর এবং সূর্যের মোট দূরত্বের মাত্র এক শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আদিত্য সময় নেবে ১১০ দিন যার মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে আগামী ১৬ দিন। সমগ্র মিশনের খরচ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সূর্যের রহস্য উদঘাটনে নাসা ২০১৮ সালে পাঠিয়েছিল পার্কার সোলার প্রোব। তারপরে ভারতের এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সৌর গবেষণার ক্ষেত্রে। এই মিশনে থাকছে সাতটি পেলোড, যার মধ্যে চারটি সূর্যের আলো ও বাকি তিনটি প্লাজমা ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে।

এই পরিকল্পনার শুরু ২০০৮ সাল থেকে ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়েছে এই মিশন। ইসরো এবং অন্যান্য ভারতীয় গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে আদিত্যর নানান অংশ। সৌর বায়ুমন্ডলের ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা নিয়ে গবেষণা, প্লাজমা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সৌর করোনার চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিমাপ, সৌর বায়ুর গতিবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে মূল্যবান তথ্য পাঠাবে আদিত্যর সাতটি পেলোড। এতে সূর্যের ক্রিয়াকলাপ কিভাবে পৃথিবীর জলবায়ুকে প্রভাবিত করে তাও বুঝতে সাহায্য করবে।কমপক্ষে এক বছর ধরে নানান তথ্য ও ছবি অবিরাম পাঠাতে থাকবে আদিত্য। তারপরেও দীর্ঘদিন কার্যক্ষম থাকবে। এখন অপেক্ষা তার সফল প্রতিস্থাপনের।

বিজ্ঞাপন

Advertisement