মেমারিতে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর দুধপুকুর এলাকার এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করলো মেমারি থানার পুলিশ। জানা গেছে, দ্বাদশ শ্রেণী এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষককে। ধৃত শিক্ষকের নাম হেমন্ত পরামানিক।

বিজ্ঞাপন

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ছাত্রীটি কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে যায়। বেলা ১২-৩০ নাগাদ সেই টিউশন ব্যাচের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু এই ছাত্রীটিকে অতিরিক্ত পড়ানোর অছিলায় থাকতে বলে অভিযুক্ত শিক্ষক। সেই সময় কোচিং সেন্টারে ছাত্রীটি একা থাকার সুযোগ নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে তার শরীরে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীটি ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে সমস্ত ঘটনা জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে পাড়ার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার কোচিং সেন্টারে চড়াও হয় এবং শিক্ষকের সাথে বচসা হয়। এব্যপারে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানালে রবিবার বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস দেন।

কিন্তু রবিবার স্থানীয় কাউন্সিলর না আসায় বিষটিকে নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীটির পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত শিক্ষকে মারধোর করে এবং ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির মা রবিবার রাতে মেমারি থানায় লোকজন নিয়ে এসে লিখিত অভিযোগ করেন। থানা চত্বরেও বিষয়টি নিয়ে চরম বচসা হয় দুপক্ষের মধ্যে। সূত্র মারফৎ জানা যায়, শিক্ষকটির পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক হেমন্ত পরামানিককে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে ঝামেলা করার অভিযোগে এলাকার ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম হীরন জানা, সুমিত তাঁতি, সোমনাথ হাজরা। সোমবার সকালে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতদের সকলকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। মেমারি থানার পুলিশ ছাত্রীটিকে মেডিকেল টেষ্ট করানোর জন্য বর্ধমানে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন