বর্ধমান মেডিকেলের মর্গে দুর্গন্ধের সমস্যা মেটাতে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ এলাকায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গের (পুলিশ মর্গ) আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। মর্গের কুলার সিস্টেম কে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মর্গের পাশে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী এবং স্থানীয় বসবাসকারীদের অভিযোগ ছিল মৃতদেহের পচা গন্ধে অতিষ্ঠ হতে হয় তাদের। তবে, এবার সেই সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন,’ দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল মর্গের দুর্গন্ধ থেকে এলাকাবাসীদের রেহাই দেওয়ার। আমরা এই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করে পরিকল্পনা তৈরি করি। ইতিমধ্যেই আমাদের মর্গের ৩৬টি বাতানুকুল মেশিনের কিছু মেরামত ও কিছু নতুন মেশিন লাগিয়ে দুর্গন্ধের সমস্যা মিটিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগে বেশকিছু নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

জমে থাকা মৃতদেহ এবং দেহদানের পর যে মৃতদেহগুলি জমে থাকে সেগুলোর সংরক্ষণের জন্য বিশেষ মেশিন আনা হয়েছে। মর্ডান মরচুয়ারি কুলার লাগান হয়েছে এনাটমি বিভাগে। এখানে ৬টি করে দুটি ভাগে মোট ১২টি বক্স রয়েছে মৃতদেহ রাখার। নূন্যতম মাইনাস ১০ডিগ্রি তাপমাত্রায় মৃতদেহগুলো রাখার ব্যবস্থা থাকছে। মর্ডান মরচুয়ারি কুলার সিস্টেমের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখানে মৃতদেহ খুব ভালভাবে সংরক্ষণ করা যাবে। মর্গেরও কাজ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের যে সমস্যা সেটা আগামী দু একদিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে বলেই আশা করছি।’

প্রসঙ্গত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের শেষ প্রান্তে রয়েছে পুলিশ মর্গ। মর্গের পিছনের দিকে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়। মর্গের গেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস। মর্গের গেটের ভিতরে রয়েছে একটি ব্যাঙ্ক। মর্গের পচা মৃতদেহের গন্ধে এখানে আসা মৃতের পরিবারের লোকজন থেকে অন্যান্যরা প্রত্যকেই সমস্যায় পড়তেন। সমস্যায় পড়তেন পথচলতি মানুষ এবং মৃতদেহ নিতে আসা পরিজনরা। মর্গের চত্বরে এসে নাকে রুমাল চাপা না দিয়ে কিছুক্ষণ টেকাই কষ্টকর হয়ে উঠতো।

এবার সেই দুর্বিসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চলছেন ভুক্তভোগীরা বলেই দাবি মেডিক্যালের। মেডিক্যাল জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মর্গের ভিতরের এসির কাজ শুরু হয়েছে। জমে থাকা মৃতদেহগুলিকে এনাটমি বিভাগে স্থানান্তরিত করে কাজ চলছে মর্গের। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রগুলির মধ্যে যেগুলো ইতিমধ্যেই বিকল হয়েছে সেগুলোকে বদলে ফেলা, সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। এগুলি ঠিক হয়ে গেলে দূর্গন্ধ আর বাইরে আসবে না বলেই দাবি। পাশাপাশি, এনাটমি বিভাগের যে পরীক্ষাগার, যেখানে মৃতদেহ কেটে ডাক্তারি পড়ুয়ারা বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করেন সেই জায়গাটাতেও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কুলার মেশিন বসানো হয়েছে।

ছবি – ফাইল

আরো পড়ুন