ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সদ্যজাত মৃত শিশু উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী দের অনেকে জানিয়েছেন, তেলিপুকুর এলাকায় একটি পানশালার পিছনে ঝোঁপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় শিশুটিকে। অনুমান কুকুরে অন্য কোথাও থেকে শিশু টিকে মুখে করে নিয়ে এসে সেখানে ফেলে থাকতে পারে। এরপর বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেডিকেলে পাঠায়।
কে বা কারা, কখন এই সদ্যজাত শিশু টিকে ফেলে দিয়ে গেছে পুলিশ তার অনুসন্ধান শুরু করেছে। প্রসঙ্গত এই ধরনের ঘটনা সাধারণত শহরের নবাবহাট এলাকায় একাধিকবার অতীতে দেখতে পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের অনুমান, ইদানিং নবাবহাট এলাকায় বাড়ি, ঘর, দোকান পাট প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় খালি বা ঝোঁপ জঙ্গল এলাকা কমে গেছে। ফলে যারা এই ধরনের নৃশংস কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা সুযোগ বুঝে অন্যত্র শিশুটিকে নিয়ে এসে ফেলে পালিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে শহরের বহু নার্সিংহোমে এখনও বেআইনিভাবে গর্ভপাত করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকমাস আগে শহরের কেশবগঞ্জচটি এলাকায় সদ্যজাত শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার আগে নবাবহাট এলাকাতেও একই ঘটনার প্রত্যক্ষ করেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে নার্সিংহোম গুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি নার্সিংহোম কে গর্ভপাত বিষয়ে সরকারি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও অবৈধভাবে মোটা টাকা লাভের লোভে অনেক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এখনও এইসমস্ত বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছু মানুষ তার সুযোগও নিচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে রুটিন মাফিক নজরদারি রাখা হয় বলে জানা গেলেও, সদ্যজাত শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে চলে আসছে। ফলে সঠিক নজরদারি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।