ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের দামোদর নদী থেকে বেআইনিভাবে ব্যাপক হারে বালি উত্তোলনের অভিযোগের পিআইএল (PIL) খারিজ করে দিয়েছে। একইসাথে এই অভিযোগকারীকে একজন ‘তোলাবাজ’ বা ‘চাঁদাবাজ’ (Extortionist) বলেও উল্লেখ করেন বিচারক। এরই পাশাপাশি আদালত আবেদনকারী সুব্রত মল্লিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। প্রসঙ্গত এই সুব্রত মল্লিক নিজেকে ‘অল ইন্ডিয়া অ্যান্টি-করপশন’ নামে একটি সংস্থার ‘এডিশনাল ডিরেক্টর ক্রাইম’ হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। একজন আইনজীবী উল্লেখ করেছেন যে, পিটিশনারের পদটিও প্রতারণামূলক। সেই কারণে আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। আদালত আগামী ১৫দিনের মধ্যে এই জরিমানা জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন মামলার আবেদনকারী কে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (chief Justice), টি এস শিবগননাম বলেছেন যে এটি সুব্রত মল্লিকের তৃতীয় রিট পিটিশন ছিল। তার মধ্যে দুটি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। শুনানির সময় পিটিশনার এর আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন “প্রথমত, আমরা আপনার মক্কেলের কোনো রিট পিটিশন শুনব না। সে একজন তোলাবাজ। সে মানুষকে হুমকি দিচ্ছে এবং টাকা দাবি করছে… কিভাবে সে রেজিস্ট্রেশন পেল অল ইন্ডিয়া এন্টি করাপশন নামে ? “
যদিও মল্লিকের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে নিউ দিল্লি তে। যদিও কোন রেজিস্ট্রেশন নম্বর আদালতে পেশ করা হয়নি। বিচারক নির্দেশ দেন, মামলাকারী নিজেকে এই সংস্থার একজন এডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে যে পরিচয় দিয়েছেন সেটাই মিথ্যা। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে এই সংস্থার নামের সঙ্গে ‘সর্বভারতীয়’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করাটাও অবৈধ। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল যে রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গ খনি নীতি ২০০২ লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বালি খননের কার্যকলাপে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এব্যাপারে প্রায় ৩০জন লিজ হোল্ডার সহ পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন জেলার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে এই মামলা করেছিলেন সুব্রত মল্লিক। আদালত এই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন।