খন্ডঘোষে মৃত্যুর মুখে ফেলে যাওয়া সদ্যজাত কে উদ্ধারের পরেও হতাশায় দম্পতি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: রাতের অন্ধকারে গ্রামে রাস্তার ধারে মাচায় সদ্যজাত শিশু উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার পলেমপুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস অধিকারী ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হটাৎ বাড়ির সামনে অনেকগুলো কুকুরের চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে লক্ষ্য করি একটা বাঁশের মাচার ওপরে কাপড়ে জড়ানো কিছু পড়ে রয়েছে। সামনে গিয়ে টর্চ মেরে দেখি একটা সদ্যজাত শিশুকে কে বা কারা মাচার ওপর ফেলে রেখে গেছে।

বিজ্ঞাপন

সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাটিকে ঘরে নিয়ে এসে গরম জল ও দুধ খাওয়ায় আমার স্ত্রী। রাতেই ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানোও হয়। পরে আমার এক ভাগ্নি বাচ্চাটিকে বুকের দুধ খাইয়ে আরো সতেজ করার চেষ্টা করে। বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু আজ সকালে খন্ডঘোষ থানার পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা এসে বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায়। আমি প্রশাসনের কে আবেদন করছি যাতে বাচ্চাটিকে আমায় ফিরিয়ে দেয় যাতে সযত্নে বড় করতে পারি। আমার একটাই আবেদন, কাল রাতে যদি বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে না আসতাম, তাহলে কুকুরে মেরে ফেলতে পারতো এই সদ্যজাত নিষ্পাপ শিশুটিকে। বাড়িতে নিয়ে এসে সুস্থও করলাম। শিশুটির জন্মদাত্রী তো ওকে মেরেই দিতে চেয়েছিল! এখন আইন মেনেই যদি বাচ্চাটিকে আমরা ফিরে পাই সেটাই চাইছি।’

চাইল্ড লাইনের পক্ষে সোশ্যাল ওয়ার্কার সোমা দাস বলেন, ‘ খন্ডঘোষ থানার পক্ষ থেকে জানতে পেরে আমরা এদিন পলেমপুর এলাকা থেকে একটি সদ্যজাত শিশু কে এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছি। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর পর জেলা চাইল্ড ওয়েলফেরার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এইভাবে কেউ সদ্যজাত শিশু নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারেন না। তবে সরকারি নিয়ম মেনে পরবর্তীতে কেউ যদি বাচ্চা নিতে চায় তারজন্য আবেদন করতে পারেন।’ এদিকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার পরেও ফের প্রশাসনিক নিয়মের ফেরে বাচ্চাটি হাতছাড়া হওয়ায় উদ্ধারকারী তাপস অধিকারীর পরিবারের সকলেই এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আরো পড়ুন