ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: গলসিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম গৌতম কুমার মুখার্জ্জী। বয়স ৪৫ বছর। তিনি গলসি ১ নং ব্লকের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে এখনও জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোন ঘটনা নেই। তবে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও বেসরকারি ভাবে পাওয়া তথ্য অনুসারে এটাই জেলায় প্রথম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা।
স্বাভাবিকভাবেই এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকেই। মৃতের প্রতিবেশীদের থেকে জানা গেছে, মাঠে কাজ করতে গিয়ে গ্রামের তিন চারজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তিনজন ওষুধ খেয়ে সেরে গেছে। তবে গৌতমের বাড়াবাড়ি হওয়ায় চারদিন আগে তাকে বর্ধমানের উপকণ্ঠে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার ম্যালেরিয়া পজেটিভ ধরা পরে। এলাকাবাসী সেখ মুক্ত জানান, ’আমাদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন ওষুধ পাওয়া যায়না। তাছাড়া পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রর পক্ষ থেকে সম্প্রতি কোন সচেতনতা মূলক শিবিরও করা হয়নি। গ্রামের অনেক মানুষের জ্বর আসছে। এমনকি ম্যালেরিয়া রুখতে পঞ্চায়েত থেকেও কোন উদ্দ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। যার জন্য আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’
এদিকে পতঙ্গবাহী রোগ রুখতে রাজ্য সরকার সব সময় সজাগ থাকলেও ব্লকের পুরসা হাসপাতালের কোন ভুমিকা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বহু মানুষ। কিছুদিন আগেই পুরসা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিসেবার মান নিয়ে বিএমওএইচ এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন স্থানীয়রা। এমনকি বিএমওএইচ পায়েল বিশ্বাসের অপসারণ চেয়ে জেলার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এলাকার শতশত মানুষ। তারপরও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক করতে বা ম্যালেরিয়া রুখতে কোন সচেতনতার শিবির করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ রায় বলেন, ’আগে জ্বরে আক্রান্তদের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি রিপোর্ট করা হতো। সেই মতো ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতার শিবির করা হত। তবে ব্লকের পুরসা হাসপাতাল এখন সেইসব বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি থেকে জ্বরের ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বর্ষার সময় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়লে এলাকায় মানুষ কে যে বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে সেই নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে এলাকায়।’