ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সম্প্রতি বর্ধমানের রমনা বাগান জুলজিক্যাল পার্ক পরিদর্শনে এসে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে যেমন বেশ কিছু নতুন পশু পাখি এই অভয়ারণ্যে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পাশাপাশি দর্শকদের কাছে এই বনাঞ্চল কে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মন্ত্রী বনদপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশও দিয়েছিলেন, দ্রুত পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করার জন্য।
আর মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ সেই মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ‘ মন্ত্রী রমনাবাগান পরিদর্শনে এসে এই জায়গাকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য ও দর্শকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন একাধিক পশু পাখি নিয়ে আসার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন। জলহস্তী, গন্ডার সহ অন্যান্য পশুও যাতে এখানে নিয়ে আসা যায় তার জন্য দিল্লির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রমনাবাগানের ভিতরের পরিসর কে আরো উন্মুক্ত করা, দর্শকদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা করা, ফুড পার্ক তৈরির পাশাপাশি বয়স্কদের পার্ক ঘুরে দেখানোর জন্য ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছিলেন। আমরা ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করছি।’
সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘সম্প্রতি কালবৈশাখীর ঝড়ে রমনাবাগানের ভিতরে প্রচুর শাল, সেগুন সহ অন্যান্য গাছ ভেঙে গিয়েছিল। পার্কের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সেই সব গাছের গুঁড়ি, ডাল জড়ো করে রাখা ছিল। রমনাবাগানের ভিতরের জায়গা থেকে সেই সব গাছের গুঁড়ি, ডালপালা সরিয়ে ওড়গ্রাম ফরেস্ট বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও পার্কের ভিতরে থাকা যাবতীয় স্তূপীকৃত আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ সম্পূর্ন হলে সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল জুলজিক্যাল পার্ক এলাকা পরিদর্শন করার পর অনুমোদন দিলে নতুন পশু পাখি নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে। তার আগে আমাদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর প্রস্তাবিত পরিকল্পনার কাজ এগিয়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে।’