ক্রাইম

বর্ধমানের হোটেল থেকে এক যুবক ও এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বোন পরিচয় দিয়ে এক কিশোরীকে হোটেলের ঘরে নিয়ে আসার পর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল যুগলের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়া এলাকার একটি হোটেলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রবিবার দুপুরে। আত্মঘাতী যুগলের নাম মহাদেব মাঝি(২০) ও প্রিয়াঙ্কা মিত্র(১৫)। পুলিশ হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে দুজনকেই গলায় মালা পরিহিত অবস্থায় নাইলনের দড়িতে ঝুলন্ত উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুগলের দু’জনেরই বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানা এলাকায়। তবে বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা মিত্র বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো। অন্যদিকে মহাদেব মাঝি রং মিস্ত্রির কাজ করতো বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হোটেল কর্মী তাপস কান্তি মণ্ডল বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ মহাদেব মাঝি তার পরিচয়পত্র দেখিয়ে হোটেলের চার তলায় একটি রুম ভাড়া নেন। রাতে তিনি সেখানেই ছিলেন। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা মিত্র নামে এক নাবালিকা ( বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী) তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। মহাদেব মাঝি হোটেলের লোককে জানায় সে তার সম্পর্কে বোন হয়। তারা এখনি চেক আউট করবেন। এরপর ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বেলা ১২টা বেজে গেলেও ঘর থেকে কেউ না বেরোনোয় হোটেল কর্মীদের সন্দেহ হয়। হোটেল কর্মী তাপস জানিয়েছেন, তারা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়।  তখন বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

আরও পড়ুন – EWS Certificate Apply West Bengal-Download Certificate

পুলিশ আধিকারিক রাকেশ চৌধুরী বলেন, তিনকোনিয়া এলাকার একটি হোটেলের ঘর থেকে দু’জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। দু’জনের গলায় মালা ছিল। রুম থেকে একটি সিঁদুরের কৌটা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণেই এই পরিণতি। মৃত দুজনের বাড়িতেই খবর পৌঁছনো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। হোটেল সূত্রে জানা গেছে, তাদের অনুমান আগের পরিচিতির কারণে যুবকটি মেয়েটির সাথে দেখা করার জন্যই বর্ধমানে এসে হোটেলের রুম ভাড়া করেছিল। তাদের অনুমান রবিবারই হোটেলের রুমে তারা মালাবদল করে বিয়ে করে। রুম থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে হোটলের ভূমিকা নিয়েও। সকালেই চেক আউট করার কথা মহাদেব মাঝি জানালেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন খোঁজ নেওয়া হলো না। উপরন্তু এতক্ষণ পর কেন থানায় খবর দেওয়া হল হোটেল থেকে সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।