পশ্চিমবঙ্গ

বর্ধমানের নার্সিংহোমে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের

FOCUS BENGAL

FOCUS BENGAL

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুতে এবার সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের চিকিৎসক কৌশিক দাস ও তার নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন মৃত নাসমিন খাতুনের (১৮) পরিবার। পাশাপাশি বর্ধমান থানায় দায়ের করা জেনারেল ডায়রি কে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, তারা মৃত্যুর কোন তদন্ত চাইছেন না, বরং একজন সুস্থ, সবল মেয়ের (সামান্য পেটে ব্যথা ছিল) অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের সময় চিকিৎসার পদ্ধতিগত দিক গুলো সঠিক ছিল কিনা, অপারেশনের সময় ওটি তে কারা উপস্থিত ছিলেন, অজ্ঞান করার পদ্ধতি কি ছিল, কি কি ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়েছিল, একজন প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিভাবে জেনারেল সার্জারি করলেন প্রভৃতি বিষয়ের তদন্ত দাবি করছেন।

বিজ্ঞাপন

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন,’ অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়ান ম্যান কমিটি এই গোটা ঘটনার তদন্ত করছেন। আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে।’ মৃতার আত্মীয় জহর আলম বলেন,’ গত ১৭মার্চ নাসমিন খাতুনের অপারেশন হয় বর্ধমানের খোশবাগানের কল্পতরু নার্সিংহোমে। অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের জন্য চিকিৎসক প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগান। এরপর পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে রোগীকে আইসিইউ তে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন রাতে হটাৎ রোগীকে সেই নার্সিংহোম থেকে বের করে নবাবহাটের কাছে অন্য আরেকটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দেয় চিকিৎসকের লোকজন। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের সম্পূর্ণ ভুল চিকিৎসা ও গাফিলতির কারণেই নাসমিন খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলেই মৃতার পরিবারের লোকেদের অনুমান। আর তাই গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তারা।

জহর আলম বলেন, ‘ রোগীর মৃত্যুর পর নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয় মৃতার পরিবারের কাছে। আর এই ঘটনায় তাদের কাছে ভুল চিকিৎসা ও গাফিলতির সম্ভাবনার বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যায়। এমনকি রোগীর মৃত্যুর পর থেকে খোদ চিকিৎসক কৌশিক দাসের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কোন যোগাযোগ করেননি বলেই অভিযোগ। ফলে এই সমস্ত বিষয় এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে তদন্তের দাবিও জানানো হবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলে জানিয়েছেন জহর আলম বাবু।

Advertisement