ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,শক্তিগড়: শ্বশুর বাড়িতে গৃহবধূ উপর অত্যাচার, মারধর করা হচ্ছে জানতে পেরে নির্যাতিতা গৃহবধূর বাবা মেয়েকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গেলে গৃহবধূর স্বামী ও পরিবারের অন্য সদ্যরা ওই গৃহবধূ ও তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে শক্তিগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ আঁখি নাই প্রামাণিক। মারধরের পর জখম শম্ভুনাথ প্রামাণিক বড়শুল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার সুহারি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার এরাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা শম্ভুনাথ প্রামানিকের ছোটো মেয়ে আঁখি প্রামানিকের সঙ্গে চার বছর আগে শক্তিগড় থানার সুহারি গ্রামে রামকৃষ্ণ নাই এর বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে শশুর বাড়ির লোকজন। তার গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান জেলা আদালতে দুই পক্ষই মামলা দায়ের করেন।
লাগাতার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এরপর আঁখি নাই বাপের বাড়ি চলে আসেন। কিছুদিন আগে জানতে পারেন শ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে আঁখিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরের শ্রাদ্ধশান্তির কাজ শেষ হতেই ফের তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে গেলে শাম্ভুনাথ বাবুকে বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূ আঁখিকেও মারধর করা হয়। শম্ভু নাথ বাবু বলেন,” কোনওক্রমে মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মেরে ওরা। ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আমি চাই ওই পিশাচ গুলোর উপযুক্ত শাস্তি হোক।”