ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: দীর্ঘদিন ধরে কলেজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা হলেও আজ পর্যন্ত একটি ইঁটও গাঁথা হয়নি। বারবার ভোট আসলেই আশ্বাস বাণী শুনিয়ে গেলেও ভোট মিটে যাওয়ার সাথে সাথেই ম্লান হয়ে যায় কলেজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি। সুযোগ পেলেই এলাকার মানুষ সেইসব নেতাদের সামনে কলেজ নির্মাণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেই নানান জটিলতার বিষয় সামনে এনে এড়িয়ে যান সকলেই। আর এহেন কলেজ নির্মাণ নিয়ে ফের প্রতিশ্রুতির বাণী শোনা গেল রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কন্ঠে। শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির বোহারে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো কোন একদিন দেখবেন মুখ্যমন্ত্রীই এসে এই রবীন্দ্র-নজরুল মহাবিদ্যালয়ের উদ্বোধন করছেন।’
এলাকার ছাত্রছাত্রীদের একটি কলেজের চাহিদা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এলাকায় কলেজ নির্মাণের প্রত্যাশায় ছিলেন সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত রাজ্যে পালা বদলের পর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করার পরই পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির সাতগেছিয়াতে রবীন্দ্র নজরুল মহাবিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব উঠে আসে। কলেজ স্থাপনের জন্য জমি চিনহিত করা হয় সাতগেছিয়া সংলগ্ন মন্তেশ্বর রোডের পাশে। ২০১৬-১৭ অর্থ বর্ষে তৎকালীন বিধায়ক সৈকত পাঁজার তহবিল থেকে নির্মিত হয় রবীন্দ্র নজরুল মহাবিদ্যালয়কে ঘিরে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। এমনকি বহু মানুষ সেই সময় কলেজ নির্মাণের জন্য গঠিত কমিটির হাতে নিজেদের সামর্থ্য মতো অর্থ সাহায্যও তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতকিছুর পরেও সেইসবই এখন অতীত, কার্যত কলেজ নির্মাণের সামগ্রিক বিষয়টিই একপ্রকার বিশ বাঁও জলে।
এদিন দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রী সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছালে বহু না পাওয়ার মধ্যেও কলেজ নির্মান না হওয়ার প্রসঙ্গটি মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন বোহারের চিকিৎসক ডা. শামসুল হুদা। আর এরপরই রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই কলেজ প্রসঙ্গে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সাতগেছিয়াতে প্রস্তাবিত রবীন্দ্র নজরুল মহাবিদ্যালয় নির্মাণ করতে গেলে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়েও আলোচনা করেছি। যত দ্রুত সম্ভব এব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
যদিও এই ধরনের আশ্বাস বাণী এলাকার মানুষ বারবার শুনে আসলেও বাস্তবে কোনো কাজ এখনও হয়নি, আর তাই এবারেও মন্ত্রীর আশ্বাস বাণী এলাকার মানুষের মধ্যে কতটা প্রভাব বিস্তার করবে তা নিয়েও সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। বরং এলাকাবাসীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আদপে সত্যিই কি এই এলাকায় কলেজ নির্মাণ হবে? সেদিকেই তাকিয়ে হাজারো পড়ুয়া।