ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: ৮মাস পেরিয়ে গেলেও হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে লক্ষাধিক প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে যাওয়া বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা চাষীরা এখনও পায়নি। প্রশাসনিক একাধিকবার হস্তক্ষেপের পরও সমস্যা না মেটায় বর্তমানে চাষীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আর এরই মধ্যে লুকিয়ে এসে হিমঘরে রাখা আলু বের করার চেষ্টা করতেই ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন খোদ হিমঘর মালিকের ছেলে। তাকে একটি ঘরে বন্ধ রেখে চাবি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে ফের তীব্র উত্তেজনা তৈরী হয় হিমঘর চত্বরে। মেমারি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে হিমঘর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন চাষীরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে রসুলপুরের তিরুপতি হিমঘরে রাখা কয়েক লক্ষ প্যাকেট আলু হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে নষ্ট হওয়ায় যায় বলে অভিযোগ। এরপর দফায় দফায় চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বিষয়টি এই মুহূর্তে আদালতে বিচারাধীন। পুজোর আগে সাময়িক ভাবে চাষীরা বস্তা প্রতি ২৫৯টাকা হিসাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও ক্ষতিপূরণের মোটা অংকের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে বলে চাষীদের দাবি।
এদিন বিক্ষোভরত চাষীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে রবিশস্যের মরশুম শুরু হলেও আর্থিক ক্ষতির কারণে তারা এই মুহূর্তে দিশাহীন হয়ে পড়েছেন। আলু চাষ তো তারা করতে পারছেন না, অন্যদিকে ঋণের দায়ে জর্জরিত তাদের পরিবার। মালিক পক্ষ এবং সরকার পক্ষের মধ্যে বিষয়টি বিচারাধীন আদালতে। অথচ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন চাষিরা বলে জানান চাষিরা। তারা চাইছেন অবিলম্বে তাদের প্রকৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে দেওয়া হোক। বুধবার বিকেল থেকে চাষীদের বিক্ষোভ ও ঘেরাও কে কেন্দ্র করে কার্যত ফের তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হিমঘর এলাকায়।