ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান: বর্ধমান শহরকে দেশের আর পাঁচটা বড় শহর কিংবা রাজ্যের অন্যান্য সুন্দর শহরের সঙ্গে এক সারিতে বসাতে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও বর্ধমান পৌরসভা একাধিক পরিকল্পনা করে বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্বর কে বিজ্ঞাপন মুক্ত করে ১০০মিটার এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কার্জন গেট কে দৃশ্যমান করার জন্য ব্যক্তি মালিকানায় থাকা একাধিক বাড়ি ও এই চত্বরের চারপাশ নীল সাদা রং করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের প্রচারের উদ্দেশ্যে আলোকসজ্জায় সজ্জিত বড় বড় বোর্ড লাগানো হয়েছে ফুটপাথের পাশে।
কিছুদিন আগেই কার্জন গেটের সামনেই জিটি রোডের মাঝে আইল্যান্ডে ‘ বিশ্ব বাংলা ‘ লোগো লাগানো হয়েছিল। পরে আলো লাগিয়ে সেটিকে আলোকিত করার উদ্যোগ নেন বিধায়ক খোকন দাস। আগামী ২০তারিখে কার্জন গেটের সামনে জিটি রোডের দিকে বর্ধমান রাজ পরিবারের মহারাজাধীরাজ বিজয় চাঁদ ও তাঁর স্ত্রী রাধারাণী দেবী যাঁদের উদ্যোগে ১৯০৪সালে লর্ড কার্জন কে এই শহরে স্বাগত জানাতে এই ঐতিহাসিক তোরণ তৈরি করেছিলেন, তাঁদের পূর্নবয়ব মূর্তি বসতে চলেছে বিধায়কের উদ্যোগে। আর তার আগেই নতুন করে কার্জন গেট চত্বরকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিলেন বিধায়ক।
বুধবার রাতে কার্জন গেট চত্বর থেকে আগের লাগানো বিশ্ব বাংলা লোগো কে পুরোপুরি খুলে ফেলা হল। কিন্তু হটাৎ কেন এই লোগো খুলে ফেলা হচ্ছে এই নিয়ে চরম কৌতূহল তৈরি হয় শহরবাসীর মধ্যে। নানান বিষয়ের সম্ভাবনা নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে যায়। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগের বিশ্ব বাংলা লোগো টি ঘূর্ণায়মান ছিলনা। এবার ঘূর্ণায়মান লোগো বসতে চলেছে এই একই জায়গায়। আগের থেকে মাপেও বড় হচ্ছে সেটি। এই লোগোকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে ফোয়ারা। সারাদিন এই ফোয়ারা দিয়ে জল পড়বে বিশ্ব বাংলা লোগোর উপর। সন্ধ্যে হলেই জ্বলে উঠবে আলো। জিটি রোড ধরে কার্জন গেট চত্বর পেরোনোর সময় সকলের চোখে যেন এই শহরের আধুনিকীকরণ চোখে পড়ে তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন খোকন দাস।
জানা গেছে, আগের লোগো টিকে শহরের বোরহাট এলাকায় লাগানো হবে। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন পুজোর আগে শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্বর কে আরো বেশি প্রাণোচ্ছল করে তোলার একটা প্রয়াস শুরু করা হয়েছে তার জন্য শহরবাসীর একাংশ বিধায়কের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিধায়ক খোকন দাস বলেন,” বর্ধমান শহর একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক শহর। অপরিকল্পিত এই শহরকে পরিকল্পনার মাধ্যমে সাজিয়ে তুলতে জেলা প্রশাসন, পৌরসভার সঙ্গে আমি সর্বত ভাবে চেষ্টা করছি। বাইরে থেকে যারা এই শহরে আসেন বা শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন তাঁদের কাছে এই শহরকে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে আমরা একাধিক পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি। পুজোর আগেই ই শহরের ভোল অনেক বদলে যাবে। “