ক্রাইম

বর্ধমান শহরের রাস্তাই এখন গরু পাচারের করিডোর! নির্বিকার প্রশাসন

সৌরীশ দে, বর্ধমান: একই বলে বজ্র আঁটুনি ফোস্কা গেরো। দিনের আলোতেই খোদ বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে ম্যাটাডোর কিংবা ৪০৭ গাড়ি করে চলছে গরু পাচার। আরামবাগ রোড ধরে সদরঘাট ব্রিজ পেরিয়ে তেলিপুকুর হয়ে জাতীয় সড়কের তেজগঞ্জ কাটিং থেকে আলমগঞ্জের ভিতর দিয়ে উত্তরফটক হয়ে কখনো গোদার রাস্তা ধরে আবার কখনো শুলিপুকুরের পাশ দিয়ে গোলাপবাগ মোড়ে জিটি রোডে উঠে যাচ্ছে এই সমস্ত গরু বোঝাই গাড়ি। সূত্রের খবর এদের মধ্যে কিছু গাড়ি নবাবহাট হয়ে গুসকরা রোড ধরছে। আবার কিছু গাড়ি রেলওয়ে ওভারব্রিজ পেরিয়ে কাটোয়া রোড ধরে বেরিয়ে যাচ্ছে।

খোদ শহরের ভিতরের জনবহুল রাস্তা ধরে দিনের পর দিন অমানবিক ভাবে গরু বোঝাই করে একাধিক গাড়ি চলাচল করলেও পুলিশ বা প্রশাসনের তেমন নজর নেই বিষয়টিতে বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরবাসীর একাংশ।কিভাবে দিনের পর দিন শহরের ভিতরের জনবহুল রাস্তা দিয়ে গরু পাচার চলছে তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বহু মানুষ। এমনকি রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ প্রশাসনের একাংশের এই অবৈধ কারবারে মদত রয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীদের একাংশ।

স্থানীয় এলাকাবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন, মূলত সপ্তাহের প্রথমে সোম, মঙ্গল আর বুধবারই পাচারকারীরা এই গরু বোঝাই গাড়ি গুলোকে শহরের ভিতরের এই রাস্তা ব্যবহার করে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, কিভাবে দিনের বেলায় শহরের ভিতর দিয়ে খোলাখুলি গরু বোঝাই করে গাড়ি নিয়ে পাচারকারীরা বেরিয়ে যাচ্ছে? অভিযোগ, এই সমস্ত গাড়িগুলোতে যেভাবে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাতে রীতিমত দৃশ্যদূষণ হচ্ছে। কোন কোন গাড়ির ওপর কোনরকম ঢাকা দেওয়াই থাকছে না। আবার কোনো গাড়ির ওপর ট্রিপল দিয়ে ঢাকা থাকলেও, অভিযোগ রাস্তা দিয়ে যাবার সময় সেই ঢাকার একাংশ ফাঁক থাকায় পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায় অবলা প্রাণীগুলোকে নিয়ে যাওয়ার অমানবিক দৃশ্য।

দিনের পর দিন এই কারবার চলতে থাকলেও কেন প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে না সেই নিয়েই এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শহরের আলোমগঞ্জ, উত্তরফটক, গোলাপবাগ সহ একাধিক এলাকার মানুষ এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর বিষয়েও মনস্থির করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে এখনও কোন গণ অভিযোগ জমা হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রে জানা বর্ধমান শহরের পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এই অভিযোগের