জামালপুরে দুপক্ষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তুমুল বচসা, হাতাহাতি, বিজেপির সাংগঠনিক সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,জামালপুর: বিজেপির সাংগঠনিক সভায় এসে দলেরই দুটি গোষ্ঠীর তুমুল বচসা, হাতাহাতি, হৈ হট্টগোলের কারণে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পংকজ চৌধুরী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রামে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রামে সাংগঠনিক সভা করতে এসে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। কিন্তু তার সামনেই বিজেপির দুটি গোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন হয় যে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মন্ত্রী বারবার তাদের অনুরোধ করেন যাতে সভা চালাতে দেওয়া হয়, কিন্তু সে কথায় কেউই কর্ণপাত করেনি।

বিজ্ঞাপন

এরপরই হতাশ মন্ত্রী সাংগঠনিক সভা ত্যাগ করে বেরিয়ে যান। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগেই এই জৌগ্রামে একটি সাংগঠনিক সভায় বর্তমান এবং প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি নিজেরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এমনকি চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এক বিজেপি কার্যকর্তার। যেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে আসন্ন লোকসভায় ৩৫ টি আসন যেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ থেকে পায়। সেখানে দলের সংগঠনের এই হাল হয়, তাহলে নির্বাচনের ফল কি হতে পারে তাই নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলছে দলের নেতা কর্মীদেরই একাংশ।

শাসকদলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠন যে ক্রমশ ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকছে সেটা স্পষ্টই বুঝতে পারা যাচ্ছে এই ধরনের ঘটনায়। জামালপুর ব্লকের তৃণমূলের কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ফোনে জানান, ‘বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। শুধু জামালপুর নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গেই বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। কারণ মানুষ তাদের সাথে নেই। গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা অন্যায় ভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আটকে রেখে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। এইসবই সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। অপেক্ষা করলেই ২০২৪ সালে দেখতে পাওয়া যাবে বিজেপির কি অবস্থা হয়।’

আরো পড়ুন