ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্যর নাম ঘোষণার পর ফের পরিবর্তন করে দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হল গলসি ২ ব্লক তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের মধ্যে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, যুব সভাপতি ও বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন দলেরই একটি অংশ। রীতিমত দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। এমনকি টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন খোদ যুব তৃণমূলের খানো অঞ্চলের যুব সভাপতি মঙ্গলদ্বীপ সামন্ত।
এরপরই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্যর নাম ঘোষণা ঘিরে দল বিরোধী কাজের জন্য আন্দোলন শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। মঙ্গলদ্বীপ জানান, প্রথমে তৃণমূলের দলীয় লিস্টে নাম আসে সেখ সাবিরউদ্দিন আহম্মেদের। আচমকা বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই নাম পরিবর্তন করে রুবিমনি কিস্কুকে করা হয়। তার দাবী, ‘টাকার বিনিময়ে ব্লক সভাপতি, যুব সভাপতি ও বিধায়ক ওই কাজ করেছেন। সাবির থাকলে তাদের করে খাবার অসুবিধা হত। দলের ব্লক স্তরের পদে থাকা উচ্চ নেতৃত্বর অসাধু ব্যক্তিরা টাকা খেয়ে ওই নাম পরিবর্তন করেছেন। তাদের দলীয় অভিভাবক মমতা ব্যানার্জ্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী বিষয়টি জানেন না। তারা দলকে সব জানাবেন।’
এদিকে গলসি ২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি হেমন্ত পাল অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘টাকা পয়সা দিয়ে আমাদের দলের পদ পাওয়া যায় না। দলই সাবিরউদ্দিনের নাম পরিবর্তন করে রুবিমনি কিস্কুকে করছে। যারা এসব বলছে তাদের সাথে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়ে আগামীতে আমরা একসাথে কাজ করবো।’ তবে সাবিরউদ্দিন আহম্মেদ এদিন সাংবাদিকেদর সামনে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘ ক্যামেরার সামনে নয়, যা জানাবার দলকে জানাবো। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে।’
এদিকে এমন ঘটনার জেরে চরম অস্বস্তিতে পরেছে স্থানীয় শাসক শিবির। এদিকে এই ঘটনায় আবারও প্রকাশ্যে এসেছে গলসি ২ নং ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা সাবিরউদ্দিন আহম্মেদের নাম পাল্টে দিয়ে পুর্ত পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয় রুবিমনি কিস্কুকে। সেই খবর ছড়িয়ে পরতেই দলীয় কর্মীরা ভিড় জমান বিডিও অফিসের বাইরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিডিও অফিস চত্বরে আসে গলসি থানার পুলিশ।
এরপর সাবিরউদ্দিন বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে এলেই তাকে সাথে নিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশ বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ, ব্লক সভাপতি সুজন মন্ডল ও যুব সভাপতি হেমন্ত পালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পরে সবিরউদ্দিন কর্মীদের সাথে নিয়ে এলাকা থেকে চলে যান। এদিকে পূর্ত কর্মাধক্ষ্যের নাম পাল্টে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ বলেন, ‘ এতে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই। রাজ্য নেতৃত্ব যার নাম ঠিক করে পাঠিয়েছে তিনিই দায়িত্ত্ব পেয়েছেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তারা দলের কেউ নয়। ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখলেই জানতে পারবেন, যারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন তারা কারা, আর যার নাম প্রথমে লিস্টে ছিল তারও কর্মকাণ্ড সম্মন্ধে। সুতরাং দল কাকে কোন দায়িত্বে বসাবে এই বিয়য়ে ব্লক নেতৃত্বের বা আমার কোন ভূমিকা নেই।’